ভোলায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে নির্যাতন , গ্রেফতার ১

0
262

মিজানুর রহমান, ভোলা প্রতিনিধি:
প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে রাতের আধারে ঘরে ঢুকে ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী সারমিনকে বর্বরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে সারা শরীরে ব্লেড ও ধারালো চাকু দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। পরিবারের দাবি ঘরের সবাইকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে রাখায় তারা মেয়েটির ডাক চিৎকার শুনতে পাননি। বুধবার গভীর রাতে দৌলতখান উপজেলার কলাকোপা গ্রামের জমাদার বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তুহিন নামের প্রতিবেশী এক যুবককে আটক করেছে। অপর দিকে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠী ও শিক্ষকবৃন্দ।
গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের সাথে একই বাড়ির তুহিন ও জিন্নাদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে জিন্না (৩০) তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে উত্তোক্ত করা হত।
আহত কলেজ ছাত্রী জানান, সে তার খালার বাড়িতে থেকে পড়া লেখা করত। অনার্স ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে সে গত দুই দিন আগে মায়ের কাছে বেড়াতে আসে।
বুধবার পরিবারের সকলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে পানি খেতে পাশের রুমে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা জিন্না, তুহিন ও পাবেলসহ কয়েকজন পাষন্ড তার উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তার চোখ-মুখ ও হাতপাতা বেধে সমস্ত শরীরে ব্লেড ও চাকু দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।
খবর পেয়ে ভোলা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও প্রভাষক জামাল উদ্দিনসহ সহপাঠীরা গুরুতর আহত ছাত্রীটিকে দেখতে ভোলা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here