খবর৭১ঃ থাইল্যান্ডে সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছে দেশটির জনগণ। ধারণা করা হচ্ছে সাধারণ নির্বাচনের ভোটে দেশটির প্রায় পাঁচ কোটি ভোটার অংশ নিচ্ছে।
২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা থাকলেও তা নির্বাচন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি।
থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে কয়েক বছর ধরে চলে আসা অস্থিরতা দিন দিন আরও বাড়ছিলো। সামরিক বাহিনী এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
এর আগে সেনাবাহিনী দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি এবং বার বার জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
২০১১ সালের নির্বাচনের পর এ নির্বাচনে অনেক ভোটার অংশগ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী ৭০ লাখের বেশি মানুষ প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছে। তাই সব দলের প্রার্থীরাই এই ভোটারদের ভোট পেতে মরিয়া ছিল।
এর আগে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন এক বিবৃতিতে ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ওই বিবৃতিতে রাজা মজা ভজিরালংকর্ন ভোটারদের যোগ্য প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানান।