বৈদেশিক বাণিজ্যের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব

0
299

খবর৭১:  বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা ব্যাংকিং খাতের সংগঠন মিলে ক্রেডিট রিপোর্টের জন্য তথ্য ভান্ডার সৃষ্টি করা যেতে পারে। এতে কোন দুর্বল এবং ভুয়া ক্রেডিট রিপোর্ট সরবরাহের সুযোগ থাকবে না। আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। অনিয়ম এবং জালিয়াতির ঘটনাও কমে আসবে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘প্র্যাকটিসেস অব অবটেইনিং ক্রেডিট রিপোর্ট অব ফরেন কাউন্টার পার্টস ইন ট্রেড সার্ভিসেস-ইজ ইট ওয়াকিং?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা.রাজী হাসান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড.তৌফিক আহমদ চৌধুরী। ।
গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড.শাহ মো. আহসান হাবীব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধূরী,বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, কমার্জ ব্যাংক এজির চীফ রিপ্রেজেনটেটিভ তৌফিক আলীসহ অন্যান্যরা।

গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা.রাজী হাসান বলেন, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য সেবার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারলে ব্যাংক এবং রাষ্ট্রীয় ঝুঁকি দুটোই বাড়বে।

তিনি বলেন, অর্থ পাচার ঠোকানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। শেল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কোন লেনদেন যাতে না হয় সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড.শাহ মো. আহসান হাবীব বলেন,সম্প্রতি একটি রফতানি আদেশের বিপরীতে ২৬ টি প্রতিষ্ঠান পণ্য রফতানি করার পরও পেমেন্টে পায়নি। আমদানিকারককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৬০০ কোটি টাকা অনিয়মের ঘটনা পরবর্তীতে সবার নজরে আসে। ক্রেডিট রিপোর্ট অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এ ধরণের ঘটনা ঘটত না।

তিনি বলেন, ক্রেডিট রিপোর্ট হল বিদেশী আমদানিকারক বা রফতানিকারকের বিষয়ে বিশদ বিবরণ। এর পিছনে প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি ডলার অর্থ ব্যয় হয়, যা অযৌক্তিক নয়। কিন্তু ক্রেডিট রিপোর্ট একদিকে যথাযথভাবে হয় না, অন্যদিকে গদবাঁধা হলেও এসব ক্রেডিট রিপোর্ট কোন ধরণের বিশ্লেষণ করা হয় না। ফলে অনেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান জাল-জালিয়াতির সুযোগ পায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here