বৃষ্টি আর বৈরী বাতাসের সাথে যুদ্ধ করে নাওয়া-খাওয়া ভুলে কৃষকরা ব্যস্ত ধান তুলতে

0
332

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বোরো ধানের ভাল ফলন হলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা । বৈশাখের শুরু থেকেই বৈরী বাতাস, বৃষ্টি আর নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা ধান নিয়ে মাঠে নতুন করে দুশ্চিন্তায় আর ভোগান্তিতে পড়েছেন। কৃষকরা দিনরাত পরিশ্রম করে দ্রুত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে চাইলেও বৃষ্টি আর বৈরী বাতাসের কারনে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। হাওরে কৃষকরা বৃষ্টি আর বৈরী বাতাসের সাথে যুদ্ধ করে নাওয়া-খাওয়া ভুলে কৃষকরা ব্যস্ত ধান তুলতে।

মাটিয়ান হাওরে গিয়ে কৃষক ফারুল খানেঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল, কিন্তু শিলা বৃষ্টি, বৈরী বাতাস আর পোকায় বেশীর ভাগ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এরপরও যে পরিমাণ ধান হয়েছিল তাতেই বছরের খোরাক হয়ে যেত, কিন্তু ধান কাটার বেপারী নিয়ে পড়েছেন মহাসংকটে। বেপারীদের জন প্রতি ৫শত টাকা দিয়েও পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। ক্ষেত থেকে ধান যা কিছু তুলেছেন তাও আবার রৌদ্রের কারণে শুকাতে পারছেন না। কাঁটা ধান মাঠে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্টের উপক্রম হচ্ছে। তেমনি কৃষানীরাও মাঠে ধান শুকাতে রোদের জন্য অপেক্ষা করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ছোট বড় ২৩টি হাওরের ১৮ হাজার ৩শত ৫৪ হেক্টর জমির মধ্যে ১৭ হাজার ৯শ হেক্টর জমিতে চলতি বছর বোরো ধান চাষ হয়েছে। গত দ্ইু বছর কৃষকরা অকাল বন্যায় ফসল ঘরে তুলতে না পারলেও এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেও ২শত ৭২ কোটি টাকার ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বললেন, মাটিয়ান ও শনি হাওরের প্রায় ৪০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা সোনালি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম জানান, চলতি বছর উপজেলা ২৩টি ছোট বড় হাওরে প্রায় ১৭ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছর কৃষকরা পৌনে ৩ কোটি টাকার ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্রুত ধান কাটতে পরামর্শ দিলেও কৃষকরা শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটতে পারছেন না। যা কিছু কেটেছেন তাও আবার রৌদ্র না থাকায় শুকাতে পারছেন না।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here