খবর৭১ঃশীত আসলেই ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। আর দীর্ঘ দিনের ঠাণ্ডায় কফ জমে যায় বুকে। তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরে নিজে একটু চেষ্টা করে দেখুন কফ কমানো যায় কিনা।
লবণ পানি
বুকের সর্দি, কফ দূর করতে সহজ এবং উপায় হলো লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার কুলকুচি করুন।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান বুক থেকে কফ দূর করে বুকে ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন। এছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে জ্বাল দিন। এর সাথে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়ো মেশান। এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।
লেবু এবং মধু
লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ দূর করে গলা পরিষ্কার করে থাকে।
আদা
এক টেবিল চামচ আদা কুঁচি এক গ্লাস পানিতে মেশান। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। পানি ফুটলে এতে সামান্য মধু দিয়ে দিন। দিনে তিনবার এটি পান করুন।
এছাড়া এক চা চামচ আদা কুঁচি, গোল মরিচের গুঁড়া, এবং লবঙ্গের গুঁড়া দুধ অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করুন। আপনি চাইলে এক টুকরো আদা নিয়ে মুখে চাবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
পেঁয়াজ
সম পরিমাণ পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। কিছুটা গরম হলে নামিয়ে ফেলুন। কুসুম গরম এই পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এছাড়া পেঁয়াজের ছোট টুকরো খেতে পারেন।
খবর৭১/ইঃ