বিমানের ব্লাকবক্সে পাওয়া শেষ শব্দ ‘আল্লাহু আকবর’

0
240

খবর৭১ঃ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের ব্লাকবক্সের তথ্য প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, বিমান নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেয়ে ককপিটে বসেই বিমান চালনা সংক্রান্ত বই ঘাঁটা শুরু করে দিয়েছিলেন ভারতীয় পাইলট। ১৮৯ জনকে নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ককপিটে উচ্চারিত হওয়া শেষ শব্দ ছিলো ‘আল্লাহু আকবর’। খবর রয়টার্সের।

ব্লাকবক্সে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, জাকার্তা থেকে ওড়ার মাত্র ২ মিনিট পরই রেডিও কনট্রোলের দ্বায়িত্বে থাকা ফার্স্ট অফিসার বিমান নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে বলে এয়ার ট্রাফিক বিভাগকে রিপোর্ট করেন। তিনি বলেন, কিছু সমস্যা পাইলটের স্ক্রিনে দেখাচ্ছে কিন্তু ফার্স্ট অফিসারের স্ক্রিনে দেখাচ্ছে না। এরপরই পাইলট ফার্স্ট অফিসারকে তার নিজের রাখা বই পড়ে সমাধানের উপায় খুজতে বলেন।

পরবর্তী নয় মিনিট ধরে বিমানের ওয়ার্নিং সিস্টেম থেকে বিমানকে ওড়ানো অবস্থায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে সতর্কতা দিতে থাকে। শান্ত থাকা পাইলট এবার বিমানবন্দরে পুনরায় ফিরে গিয়ে জরুরি অবতরণের বার্তা পাঠান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে।

এক পর্যায়ে ইন্দোনেশিয়ান ফার্স্ট অফিসারকে বিমান নিয়ন্ত্রণ করতে বলে নিজেই বই পড়া শুরু করেন ৩১ বয়সী ভারতীয় পাইলট। সেখান থেকে বের করার চেষ্টা করেন সমাধান।

৩ মিনিট পর বিমানের সামনের অংশ বেঁকে যেতে শুরু করে। ফার্স্ট অফিসার বলে ওঠেন, ‘আল্লাহু আকবর’। কিন্তু পুরোটা সময় জুড়ে চুপচাপ শান্ত ছিলেন পাইলট, মৃত্যু আসন্ন জেনেও।

এরপরই রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ডুবে যায় লায়নের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স। জাকার্তা সাগরে সলিলসমাধি হয় ১৮৯ জন যাত্রী ও ক্রুর।

বিমানের ব্লাকবক্সে পাওয়া শেষ শব্দ ‘আল্লাহু আকবর’

এ বিষয়ে মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের ত্রুটি বা পাইলটের ম্যাক্স বিমান চালানোর মতো পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব ইত্যাদি যেকোনটি মূল কারণ হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করে তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমানের প্রতিডিউর ঘেঁটে সমাধান বের করা যেত। ধরুন আপনার হাতে ১০০টি প্রশ্ন আছে, কিন্তু ৭৫ টির উত্তর দিতে সময় বেশি লাগায় আপনি ভয় পেয়ে গেলেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here