খবর৭১ঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিজয়ের মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে দেশবাসী অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রায় দেবে।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুইটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে রয়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তি, যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। আরেকদিকে অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী চেতনার ধারা, যে ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বিজয়ের মাসে এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে দেশবাসী নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হচ্ছে নৌকা। নৌকার প্রতি জনগনের বিপুল সমর্থন রয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রায় দেবে, স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে রায় দেবে।
এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন রাষ্ট্রপ্রতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি উপলক্ষে তাঁরা পৃথক বাণীও দিয়েছেন।
১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধা শূণ্য করার লক্ষ্যে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
তারা অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, উপন্যাসিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সুরকার আলতাফ মাহমুদ, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেককে হত্যা করে।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। অভ্যুদয়ং হয় স্বাধীন বাংলাদেশের।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলতনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে নানা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি সংগঠন শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, মৌন মিছিল বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা সভাসহ একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
খবর৭১/এসঃ