খবর৭১: রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৬ তলা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে কর্তৃপক্ষের করা সময় আবেদনের ওপর শুনানি আজ রোববার শেষ হয়েছে।
শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতি বেঞ্চ আগামী ২৭ মার্চ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৫ মার্চ ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেছিলেন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। অন্যদিকে পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজুর মোরশেদ।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল ২০১৬ সালের ২ জুন খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘বেগুনবাড়ি খাল’ ও ‘হাতিরঝিল’ জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচ আবেদনকারীর কাছ থেকে আদায় করবে তারা। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ রিভিউ (পুনর্বিবেচনা আবেদন) করলেও তা গত বছরের ৫ মার্চ খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
খবর৭১/এস: