খবর৭১: বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম আর নেই (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৩০মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দুই ছেলে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অনেক দিন ধরেই দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই রাজনীতিক।
তিনি জানান, মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা ও সকাল ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর সুখবাসপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ জুম্মা শেষ নামাজে জানাজার পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
উল্লেখ্য, শামসুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা সুফিয়া ইসলাম ২০১৫ সালের ৩ জুন মারা যান। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবু ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। মৃত্যুকালে তিনি আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৯১ সালের মুন্সীগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শামসুল ইসলাম। এর পর তিনি সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ১/১১ সরকারের সময় দলের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তবে সর্বশেষ কাউন্সিলে বাধ্যর্কজনিত কারণে তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়।
খবর৭১/এস: