বিএনপি’র ক্যাডার থেকে যে ভাবে কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি

0
680
বিএনপি’র ক্যাডার থেকে যে ভাবে কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি
ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি এবং কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজ। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ একসময় বিএনপির এক নেতার ক্যাডার ছিলেন। পরে তিনি হন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন। চার জনকে হত্যা করাসহ তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বের হয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

র‌্যাবের করা দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত শনিবার বিকালে ফিরোজকে ঢাকার আদালতে পাঠায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তিনি দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে আছেন। বর্তমানে ডিবি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবের ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতেন শফিকুল আলম ফিরোজ। ফিরোজের ছেলের নাম রচি। বাপ-বেটা দুই জনই এলাকার আতঙ্ক। হাতিরপুলের দি তুর্কি অ্যাসোসিয়েট তার আদম ব্যবসায়ের অফিস। পাওনাদার টাকা চাইলে দুই জনকেই হত্যা করে ফিরোজ।

কলাবাগান এলাকায় আরো দুটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে ফিরোজের বিরুদ্ধে। গ্রিন রোডে রূপসী কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ১২ কাঠার একটি জায়গার মালিক ছিলেন কায়কোবাদ নামে এক ব্যক্তি। ঐ জায়গাটি দখল করে বিক্রি করে দেন ফিরোজ ও তার পুত্র।

২০১৭ সালে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন নামজুল করিম পিংকু। তিনি কলাবাগান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাকেও হত্যা করা হয়—এমন অভিযোগও এসেছে। প্রতিপক্ষ কাউকেই জীবিত রাখবেন না—এই নীতিতে চলতেন ফিরোজ।

বিএনপির আমলে কলাবাগান এলাকার এক বিএনপি নেতার ক্যাডার ছিলেন শফিকুল আলম ফিরোজ। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ বাগিয়ে নেন তিনি। বায়রার সিনিয়র সহ-সভাপতি ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

ফিরোজ কলাবাগানে ৩০ কাঠার জায়গা দখলে নিয়েছেন। ৭/৮ বছর ধরে পান্থপথ, কলাবাগান ও রাজাবাজারের কিছু অংশ, মিরপুর রোডের পূর্ব অংশে যারা বাড়ি করবে তাদের নগদ টাকা ও একটি করে ফ্ল্যাট দিতে হতো ফিরোজকে। পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণকাজ দুই বছর বন্ধ রাখে ফিরোজ। পরে বোঝাপড়া হওয়ার পর নির্মাণকাজ চালু হয়। ফিরোজের সঙ্গে আপস করতে হয়েছে ঐ পক্ষকে।

আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের একটি গ্রুপ পরিচালনাকারী ফিরোজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দখল, হত্যাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তিনি করেন না। কলাবাগান এলাকায় তিনি একটি আতঙ্ক।

 

সূত্রঃ ইত্তেফাক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here