খবর ৭১ঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে এফবিআই। বিশ্বের সর্ববৃহৎ রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে এফবিআই জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম সেটিও এখন সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে এতবড় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাটির তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী কেন এত বছর ধরে আটকিয়ে রেখেছেন এফবিআই এর রিপোর্টে সেটি এখন পরিস্কার। এতেই প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী ক্ষমতাসীনরা সাধারণ মানুষের টাকা চুরির উন্নয়ন ছাড়া আর কোনো উন্নয়নই করেনি। জনশ্রুতি আছে যে, রিজার্ভ চুরির পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকে এমন একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি আছেন যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা সরকারের নেই। আজ শনিবার সকালে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, বাংলাদেশ নামক স্টেটের ওপরে সুপারস্টেট কার্যকর আছে বলেই জনগণের টাকা হাওয়াই মিলিয়ে যায়। এই সুপারস্টেট কারা তা জনগণ জানে। তাদেরকে ঘাটলে নাকি সরকারের গদিও নড়ে যাবে। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশের ফাঁড়া ততদিন কাটবে না। আসলে দুর্নীতিরই ছদ্মনাম আওয়ামী লীগ।
রিজভী আহমেদ বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে, গুমকে ফৌজদারী অপরাধ গণ্য করতে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার ও তাদের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে সলিডারিটি গ্রুপ ফর বাংলাদেশ। এক বিবৃতিতে তারা গণগ্রেপ্তার করা বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সরকারের প্রতি তারা সুপারিশ করেছে। তাদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে ফৌজদারি বিচার বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে। সুপারিশ করা হয়েছে জোরপূর্বক গুমকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে। তিনি আরো বলেন, মানবধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশের বিরোধী দলের ওপর দমননীতি বৃদ্ধি করেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সহিংস মনোভাব দেখাচ্ছে। পক্ষান্তরে দুর্বল মানবাধিকার পরিস্থিতি চরমভাবে আতঙ্কজনক। বর্তমান সরকারের আওতায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস, সহ সংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
খবর ৭১/ইঃ
