বিউটি হত্যা: ‘ভাড়াটে খুনির’ সন্ধানে পুলিশ

0
201

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আলোচিত বিউটি আক্তার হত্যাকান্ডের ঘটনায় ‘ভাড়াটে খুনিকে’ খুঁজছে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে মাঠে। পাশাপাশি খুনিকে ধরতে উন্নত প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে।হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।খুনির ব্যাপারে বিধান ত্রিপুরা বলেন, ‘ভাড়াটে খুনি একই এলাকার বাসিন্দা, সে এলাকায় খারাপ লোক হিসেবেই পরিচিত। সে এলাকার চুরি ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত।খুনিকে ভাড়া করার প্রসঙ্গে এসপি বলেন, ‘বিউটিকে হত্যার জন্য মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে খুনি ভাড়া করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, বিউটিকে হত্যার দিন মাত্র আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হয় খুনিকে, হত্যার পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল।’
এসপি বিধান ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘বিউটির বাবা সায়েদ আলী, গ্রামের প্রতিবেশী সম্পর্কীয় চাচা ময়না মিয়া ও ভাড়াটে খুনি; ৩ জনই লাখাইয়ের গুনিপুর থেকে বিউটিকে এনে স্থানীয় নদীর পাড়ে হত্যা করে লাশটি হাওরে ফেলে দেয়।’তিনি বলেন, ‘পুলিশ খুনিকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।’
প্রসঙ্গত,গত ২১ জানুয়ারি বিউটি আক্তারকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়,তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়াসহ তার লোকজন। এ ঘটনার প্রায় ১ মাস পর বাবুল মিয়া বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি ফিরে বিউটি দাবি করে প্রেমঘটিত কারণে সে স্বেচ্ছায় বাবুলের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। পরে ১ মার্চ বিউটি আক্তারের বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর ১৬ মার্চ রাতে বিউটিকে নানাবাড়ি থেকে নানির অমতে নিয়ে যায় তার বাবা। পরদিন ১৭ মার্চ বিউটি আক্তারের লাশ স্থানীয় হাওর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।এদিকে বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে পরদিন তার বাবা বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা ইউপি সদস্য কলম চান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইল নামের একজনকে আটক করে।এই ঘটনার পর ২৯ মার্চ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম শামছুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। এরপর ৩১ মার্চ সিলেট থেকে বাবুলকে আটক করে র‌্যাব।এদিকে ৭ মার্চ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিউটির বাবা নিজেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হবিগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here