পুরান ঢাকায় সড়ক দখল করে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড

0
304

খবর ৭১ঃপুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের নিচে সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড। নয়াবাজার থেকে শুরু করে বাবুবাজার ব্রিজ ঘাট পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য ট্রাক। এতে করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে নাকাল হচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা।

বেশ কয়েকবার এ স্ট্যান্ড সরানোর জন্য উচ্ছেদ অভিযান চালালেও ক’দিন না যেতেই ফের দখল হয়ে যায় বলে জানান বাসিন্দারা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলে এ অঘোষিত স্ট্যান্ড।

শরীফ নামের বাবুবাজারের এক বাসিন্দা জানান, আমাদের এ এলাকায় এখানের ট্রাকগুলোর জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব সময় জ্যাম লেগে থাকে। এ বিষয়ে একাধিকবার এলাকার জনপ্রতিনিধিকে জানালেও এর সমাধান মেলেনি কখনও।

অথচ সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে এ এলাকায়। প্রতিনিয়ত এখানে আসা সবাইকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় জ্যামে। এগুলো দেখার কেউ নেই বললেই চলে।

সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে রাখা হয়েছে ট্রাক। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় জ্যাম লেগে আছে অনেক সময় ধরে। অঘোষিত স্ট্যান্ডের জন্য ইমারজেন্সি অ্যাম্বুলেন্সও আটকা পড়ে আছে নিরুপায় হয়ে।

সিদ্দিক নামের এক চালক রাজশাহী থেকে ট্রাক নিয়ে এসে বাবুবাজার ব্রিজ ঘাটে রাস্তার পাশে পার্কিং করেছেন।

সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় কেন পার্কিং করছেন না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশনের যে জায়গা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। কিন্তু এর একটা অংশে কুরিয়ার সার্ভিসের মালামাল থাকায় সেখানে পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় ট্রাক রাখতে হয়েছে। সেখানে জায়গা থাকলে এখানে তিনি পার্কিং করতেন না বলে জানান এ চালক।

আহমেদ বাওয়ানী একাডেমির সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া অথৈ নামের এক শিক্ষার্থীর মা আমেনা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে বাবুবাজারের এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। তিনি জানান, এ রোড দিয়ে চলাফেরা করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

দিনেও এখানে বড় বড় ট্রাক চলাচল করে। এছাড়া পুরো রাস্তার দু’পাশে সবসময় ট্রাক পার্কিং করে রাখায় এদিক দিয়ে চলাচলে খুব কষ্ট হয়। এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগে থাকে এ ট্রাকগুলোর জন্য।

বাবুবাজারের এক বাসিন্দা জানান, এ ট্রাক স্ট্যান্ডের পেছনে জড়িত কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাকর্মী। তাদের ম্যানেজ করে চলে এ অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড।

কোতোয়ালি জোনের পুলিশ ইন্সপেক্টর ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সকাল থেকে শুরু করেছি ডিউটি। এখনও খাবার খাওয়া হয়নি। এখানে যানজট নিরসনে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে থাকি।

ভোর ৪টায় এখানে বাদামতলীর ট্রাকগুলো রেখে দেয়। পরে এগুলো যাওয়ার কোনো রাস্তা থাকে না। যার ফলে এ ট্রাকগুলোর জন্য কিছুটা যানজট লেগে থাকে। এরপরও সবসময় এখানকার যানজট নিরসনে আমরা কাজ করে থাকি।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বিল্লাল শাহকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here