বাগেরহাটে ৫৬ হাজার ৬৫ হেক্টও জমির বোরো ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

0
365

হেদায়েত হোসাইন লিটন বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে দেড় মন ধানের বিনিময়ে ও মিলছেনা একজন ধান কাটার কামলা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিরকারণে এ জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে ক্ষেতে ই নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার মণ পাকাধান ও খড়। সেই সাথে কিছ ধান ঘওে উঠলে ও তার ও নায্যমূল্য মিলছেনা। তাই এ বছর ৫৬ হাজার ৬৫ হেক্টও জমির উঠতি (পাকা) বোরোধান নিয়ে কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার সুত্রে জানাযায়, কৃষিঅধ্যুষিত এ অঞ্চলে এ বছর ক্ষেতে যেমন রোগ-বালাই কম ছিল। তেমনিছিলনা কোনো পোকার উপদ্রব। তাই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর বেরো ধানের বাম্পার ফলনহয়েছে। আর এ ফলনঘওে তুলতে পারলে ধান বিক্রি কওে মিটবেতা দেরধার-দেনা। সেজন্য প্রতিটি কৃষক পরিবাওে সদস্যও াকাকডাকা ভোর থেকেই ধানকাটার কাজশুরু করেন। বসে নেই পরিবারের মেয়ে-গৃহবধু ও ছোট্টশিশুরাও। সবাইকাজে ব্যস্ত, একটুকুফুসরত নেইকারো।
বাগেরহাট জেলা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব মোঃআফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, এ বছর বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ৫৬ হাজার ৬৫ হেক্টও জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বাগেরহাট সদও উপজেলায় ১০৯০০ হেক্টও জমিতে ,ফকিরহাট উপজেলায় ৮৬০০ হেক্টর জমিতে, মোল্লাহাট উপজেলায় ৮৩৭৫ হেক্টও জমিতে, রামপাল উপজেলায় ৪৬০৫ হেক্টরজমিতে,কচুয়া উপজেলায় ৬৭০ হেক্টও জমিতে, মোড়লগঞ্জ উপজেলায় ৪৮৭০ হেক্টরজমিতে, শরনখোলায় ১০০ হেক্টর, চিতলমারি উপজেলায় ১১৯১৫ হেক্টও জমিতে বোরোধানের আবাদ হয়। মংলা উপজেলায় এবছর কোন বোরোধানেরচাষহয়নি। চলতি বছরে গত বছরের তুলনায় ৪% বেশিজমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আরপ্রতিটি ক্ষেতেই এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফলন ঠিকমত ঘরেতুলতে পারলে ও নায্যমূল্য পেলেঅবশ্যই কৃষক লাভবান হবেন।
চিতলমারির কৃষকশুধাং শুন্ডল,কচুয়ার আন্ধার মানিকের রেজাউলখান, বুদ্ধ বসু, পরিমল বিশ্বাস, উত্তমবসু, শ্রীরামপুরের নিমাইমন্ডল, শেখর ভক্ত, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, বোয়ালিয়ার টিটববিশ্বাস ও খড়মখালীর পরিমল মজুমদার সহঅসংখ্য কৃষকজানান, এ বছরচাষিরা সতর্স্ফুতভাবে ধানচাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও পোকার আক্রমণ না হওয়ার কারণে এ বছর বেরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের বৃষ্টিরকারণে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ও একজন কামলা (মজুর) মিলছেনা। যা দেড় মনধানের দাম। তাইকামলারঅভাবেএখানে ক্ষেতেইনষ্টহচ্ছেহাজারহাজারমণপাকাধান ও খড়।
তারাআরওজানান, কঠিন পরিশ্রমের পর কিছুধান ঘওে ঠলে ওতারওনায্য মূল্য মিলছেনা কৃষকের ভাগ্যে। বর্তমানে এখানে প্রতিমন ধানবিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা দরে। তাই এ বছরমাট ৫৬ হাজার ৬৫ হেক্টরজমির বোরোধাননিয়েতারা চরম বিপাকেপড়েছেন।
বাগেরহাটের উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাতপনমজুমদারবলেন,প্রতিবছরই বোরোধানেরআবাদযোগ্য জমিরপরিমানবৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর বাগেরহাটে গত বছরের তুলনায় ৪% বেশি বোরোধানেরআবাদ হয়েছে। লোকাল ধানের চেয়ে হাইব্রিড ধানের চাষ বেশি হয়েছে। মোট উৎপাদিত জমির ৭৫% জমিতে বোরো হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকজনাব মোঃআফতাব উদ্দিনবলেন,বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বোরো ধানের আবাদ বেশিএবংফলন ও বেশি হয়েছে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here