বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের দু’টি সংসদীয় আসনে বুধবার ধানের র্শীষের প্রার্থীদের গনসংযোগে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাগেরহাট- ৪ সংসদীয় আসনে সকালে মোরেলগঞ্জে নির্বাচনী গণসংযোগ কালে সন্ত্রাসী হামলায় ধানের র্শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম ও তার ৩ কর্মী আহত হয়েছেন। অপর দিকে একই দিন দুপুরে বাগেরহাট- ২ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী এমএ সালাম গনসংযোগে বের হলে থানার কাছাকাছি এলাকায় তাঁর সাথে থাকা বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। বাগেরহাটের দুটি সংসদীয় আসনে পৃথক হামলায় ধানের র্শীষের প্রার্থীসহ আহত ৬ নেতাকর্মীর মধ্যে কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা ডা. আব্দুর রহমানকে আশংকাজনক অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকালে প্রথম সন্ত্রাসী ঘটনাটি ঘটে বাগেরহাট- ৪ আসনে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় ধানের র্শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের গণসংযোগে সন্ত্রাসী হামলায় প্রার্থীসহ ৪ জন আহত হয়। আহত অপর ৩ জন হলেন, আল-আমীন (২৫), রাকিব (২৩) ও রাহাত (২৩)। আহতদের প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মারপিট করে হামলাকারিরা দুইটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়। ধানেরর্শীষের প্রার্থী এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোজ্জাম্মেল হেসেন এমপি’র কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
একই দিন দুপুরে বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) সংসদীয় আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে গনসংযোগে বের হলে থানার কাছাকাছি এলাকায় তাঁর সাথে থাকা বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আহতদের মধ্যে কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা ডা. আব্দুর রহমানকে আশংকাজনক অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে তার মাথা ফেটে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অপর আহত জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মিলনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সময় বিএনপি’র প্রার্থী এমএ সালামসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ থানায় আশ্রয় নিয়ে হামলার হাত থেকে রক্ষা পান। বিএনপির প্রার্থী এম এ সালাম এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।
সন্ত্রাসী হামালার বিষয় জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, সস্ত্রাসী হামলার ঘটনা দুটি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে দলের কাউকে এ ধরণের কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি বলে জানা।
বাগেরহাটের দুটি সংসদীয় আসনে ধানের র্শীষের প্রার্থীদের গনসংযোগে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি বলে জেলা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
খবর৭১/এসঃ
