বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা

0
252

খবর৭১:বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার জন্য প্রস্তুত মাঠ ও মঞ্চ। এই মঞ্চে আজ বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সকাল থেকে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এখন অপেক্ষা শুধু প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে আসার।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। বরিশাল নগরী পরিণত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানের নগরীতে। সকাল থেকেই দলীয় প্রধানের ভাষণ শুনতে জনসভাস্থলের আাশপাশের এলাকায় মিছিল সহকারে ঢোলবাদ্য বাজিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে মাঠে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারা পুরো মাঠটি ঘিরে রেখেছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন বেলা ১২টা নাগাদ জনসভা মাঠ খুলে দেওয়া হবে।

জনসভাস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে উন্নয়নের প্রতীক পদ্মা সেতু প্রদর্শনের জন্য প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি গর্ডারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে প্রতীকী পদ্মা সেতু। বঙ্গবন্ধু উদ্যানের দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় বিশাল অংশজুড়ে এ প্রতীকী সেতুটি স্থাপন করেছে বরিশাল জেলা ও মহাননগর আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া নগরীর বান্দরোডস্থ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যান পযর্ন্ত প্রায় তিন শ মিটার সড়কজুড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করেছে অর্ধশত তোরণ। সড়কের পাশের ও রাস্তার উপর আঁকা হয়েছে নানা রঙের আলপনা।

জনসভা স্থলের চারদিক সাজানো লাল আর সবুজ ফিতা দিয়ে। দুই পাশের লেকে ভাসানো হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। মাঠের চারপাশে রাখা হবে রং বেরঙের নৌকা। এক কথায় বলতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরী সেজেছে বর্ণালি সাজে।

এদিকে, সকাল থেকে নগরী ও বিভিন্ন জেলা উপজেলার লোকজন মিছিল সহকারে আসতে শুরু করেছে জনসভাস্থলে। সকালে জনসভাস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে তারা অবস্থান করছেন নগরীর শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজের এলাকা, লঞ্চঘাট, জেলা স্কুল মোড়, পুলিশ লাইনস এলাকায়।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি তাঁর মঞ্চে ওঠার জন্য। তিনি যে মঞ্চে ভাষণ দেবেন সেটি নৌকা আকৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকার ওপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। মঞ্চ সজ্জায় আনা হয়েছে নান্দনিকতা। এর আগে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের জন্য সাংস্কৃতিক দলের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here