খবর ৭১ঃ ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
৩ মে, শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও চিত্র যুক্ত করে ‘ধেয়ে আসছে ফণী, প্রস্তুত বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।
ফণী মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় আরও জানান, দেশের ১৯ উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত। উপকূলীয় ১৯ জেলার মোট ৩,৮৬৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত।দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সকল জেলা প্রশাসকদের ২০০ মেট্রিক টন চাল, ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। ফণীর প্রভাব মোকাবিলা ও জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের কন্ট্রোল রুম নম্বর ০২৯৫৪৬০৭২। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের শঙ্কায় সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ, প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ। দুর্যোগ চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ফণী’র পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএ’র সহ সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল।
এ ছাড়া স্ট্যাটাসে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে আহ্বান জানান।