খবর৭১: ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আচারি নামে এক ব্যক্তি। তিনি বেসরকারি একটি সংস্থার ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
এ সময় ঝুলন্ত লাশের পাশে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটে ভারতের হায়দরাবাদের ইয়াদাদরি ভঙ্গির জেলায়।
জানা যায়, দু’বছর আগে আচারির সঙ্গে ঊষা রাণির বিয়ে হয়। তাদের এক বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। একদিন আচারি জানতে পারেন তার স্ত্রী ঊষা রাণির সঙ্গে তাদের এক প্রতিবেশী শ্রীকান্তের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরপরই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন আচারি। আত্মহত্যার আগে আচারি তার বাবাকে একটি এসএমএস করেন। সেখানে বলেন, তিনি তার প্রতিবেশী শ্রীকান্তের জন্য আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এসএমএসটি পাওয়ার পরই আচারির বাবা সত্যনারায়ণ সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে ফোন করেন। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। এরপরই আচারির বাড়ি গিয়ে সিলিং ফ্যানে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘মা–বাবা আমায় ক্ষমা করে দিও। আমার মতো সন্তান যেন আর কারোর না থাকে। আমি তোমাদের দেখাশোনা করতে পারলাম না। আমার শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে আমার স্ত্রীর ঊষাকে তার প্রেমিক শ্রীকান্তের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিও। ঊষার অভিভাবক এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে না এবং তোমরাও আমার স্ত্রীকে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী করো না।
তবে আচারির বাবা পুলিশের কাছে তার ছেলের রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খবর৭১/এস: