প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গের সফর নিয়ে মির্জা ফখরুলের প্রশ্ন

0
400

খবর৭১; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গেছে খুব ভালো কথা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে তিনি বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ করেছেন অত্যন্ত ভালো কথা, কিন্তু সেই সঙ্গে আমাদের প্রশ্ন, জনগণের প্রশ্ন আমাদের যে (ভারতের কাছ থেকে) পাওনাগুলো রয়েছে, সমস্যগুলো রয়েছে সেই সমস্যগুলো সম্পর্কে তিনি কথা বলছেন কিনা?’

শুক্রবার (২৫ মে) রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ইম্যানুয়েল’স ব্যাংকুয়েট হলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর অংশ)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তিস্তা নদীর পানির হিস্যা এখনো পাইনি। যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল, তখনি তারা বলেছিল তিস্তা নদীর চুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার। অথচ আজকে দীর্ঘ ৯ বছর হয়ে গেল কিন্তু তিস্তা নদীর এক ফোটা পানির ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি। শুধু তিস্তা নয় অভিন্ন ১৫৮ টি নদী রয়েছে সেই নদীগুলোর পানির হিস্যার কোনো চুক্তি এখন পর্যন্ত হয় নাই। অথচ দেখা যাচ্ছে সামরিক চুক্তি হচ্ছে, সীমান্ত চুক্তি, সীমান্তে আমাদের মানুষদের যে হত্যা করা হয় সে চুক্তি বাদ দিয়ে ট্রানজিট চুক্তি হচ্ছে। বিভিন্ন বন্দর হচ্ছে!’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই একটি দেশের সাথে অন্য একটি দেশের সংযোগ স্থাপনের পক্ষে। একই সঙ্গে তার বিনিময়ে আমরা কি পাচ্ছি সেটাও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আমরা বার বার বলেছি এই সমস্যা, জনগণকে বোকা বানিয়ে, প্রতারণা করে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছেন।’

‘সংসদ সদস্যরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে’- নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা যদি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয় তাহলে এই বিধি নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমরা এর বিরোধিতা করছি।’

বেগম জিয়া ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, জনগণ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর অংশ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিঙ্কন, নবাব আলী আব্বাস খান, সেলিম মাস্টার, জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরোয়ার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম.এম আমিনুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোট (একাংশ) চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব, মুসলিম লীগ সভাপতি এ্এইচএম কামরুজ্জামান খান, মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, লেবার পার্টি (একাংশের) মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, বিজেপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতী মুহিউদ্দিন ইকরাম।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here