পাবনায় বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি নেতা জুলহাস নিহত ; অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

0
570

পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি নেতা জুলহাস বাহিনীর প্রধান জুলহাস মন্ডল (৪২) নিহত হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৪ পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুলহাস আমিনপুর থানার দড়িরচর মন্ডলপাড়া গ্রামের জসিম ওরফে জেসেম মন্ডলের ছেলে।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম জানান, বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামী, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি নেতা জুলহাস মন্ডলকে সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) তাকে পাবনার আমিনপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সহযোগী ও ব্যবহৃত অস্ত্র গোলাবারুদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেয় পুলিশকে। এর প্রেক্ষিতে আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার মোহন্তের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে জুলহাসকে নিয়ে ঢালারচরের দড়িরচরে অভিযানে যায় পুলিশ। পথিমধ্যে ঢালারচরের বালাজ মেম্বারের মোড় নামক স্থানে জুলহাসকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ও জানমাল রক্ষায় পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এর মাঝে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় জুলহাস মন্ডল। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ জুলহাসকে উদ্ধা করে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধে তাদের চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তারা হলেন-এএসআই ফরিদুল ইসলাম , কনষ্টেবল রেজাউল ইসলাম, নুরুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি দেশী পাইপগান, ১টি দেশী পিস্তল, ২টি রাম দা, ৭ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি, এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি গুলির খোসা, একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত জুলহাস মন্ডল চরমপন্থি দলের আঞ্চলিক নেতা ও জুলহাস বাহিনীর প্রধান ছিলেন। সে পাবনা, রাজবাড়ি ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে চাঁদাবাজী, হত্যা, অপহরণ, স্থল ও নৌপথে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে আমিনপুর, রাজবাড়ি ও কুষ্টিয়া থানায় হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। বুধবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here