পাকিস্তানকে অর্থ দেবেন না, আমেরিকাকে ভারত

0
275

খবর৭১:

পাকিস্তান সরকার জঙ্গিদের আশ্রয় দেয় তাই জঙ্গিদের মারতে হলে আগে তাদেরকে অর্থ দেয়া বন্ধ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় হোয়াইট হাউসকে এই অনুরোধই জানিয়েছে ভারত।

ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ভারত বলছে, নিরাপত্তা বা সামরিক সাহায্য কমিয়ে দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি বৃহত্তর আর্থিক এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তবেই পথে আসবে ইসলামাবাদ। আমেরিকার ন্যাটো-বহির্ভূত প্রধান শরিকদের তালিকা থেকে পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ারও দাবি জানায় ভারত।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ওয়াশিংটনে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার এর সঙ্গে এক বৈঠকে এ অনুরোধ করেন।

আগামী মাসেই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানকে সম্পূর্ণ কোণঠাসা করাটাই এ বৈঠকের লক্ষ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই না কোনো দেশের সাধারণ মানুষ আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ুন। কিন্তু পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের নামে বিদেশি অর্থ নিয়ে জঙ্গিদের পেছনে ঢালছে। অর্থের জোগান বন্ধ হলে সে দেশের সরকার তাদের জঙ্গি-সহায়ক অর্থনীতি বদলাতে বাধ্য হবে।’

১৯৮টি দেশের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর সম্প্রতিক বৈঠকের জন্য বিস্তারিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিল নয়া দিল্লি। উদ্দেশ্য ছিল একই। সেখানে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে দেখানো হয়েছিল, জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পাকিস্তান বছরের পর বছর আর্থিক সহায়তা করে চলেছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশ চাপ তৈরি করে ইসলামাবাদের ওপর।

নয়া দিল্লির শীর্ষ কর্তারা যুক্তি-সহ হোয়াইট হাউসের সামনে দাবি রাখছেন যে, ইসলামাবাদকে ‘মেজর নন ন্যাটো অ্যালাই’ (এমএনএনএ) বা ন্যাটো-বহির্ভূত মুখ্য শরিকদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এই তালিকায় থাকার সুবাদে পাকিস্তান আমেরিকার অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তি নাগালের মধ্যে পাচ্ছে। বিভিন্ন কূটনৈতিক এবং আর্থিক সুবিধাও পাচ্ছে।

ভারতের দাবি, পাক সামরিক এবং কূটনৈতিক যে সব কর্তার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলির আঁতাত প্রকাশ্যে এসেছে, তাদের উপরেও চাপ তৈরির কোনো মেকানিজম গঠন হোক।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here