আমিনুল ইসলাম বজলু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃপাইকগাছা উপজেলা সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের এক মত বিনিময় সভা শনিবার সকাল ১১ টায় কপিলমুনিস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক আমার একুশ ও অনলাইন কপোতাক্ষ ডট কম এর সম্পাদক শেখ আব্দুস সালাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জোটের আহবায়ক ও অনলাইন এস ডব্লিউ নিউজের সম্পাদক প্রকাশ ঘোষ বিধান, শেখ আব্দুল গফুর (দৈনিক গ্রামের কাগজ), এসএম আব্দুর রহমান (দৈনিক প্রবাহ), জিএম মোস্তাক আহমেদ (দৈনিক যশোর), আমিনুল ইসলাম বজলু (দৈনিক দিনকাল), এইচএম শফিউল ইসলাম (দৈনিক ইত্তেফাক), এম আজাদ হোসেন (দৈনিক সমাজের কাগজ), পলাশ কর্মকার (দৈনিক খুলনাঞ্চল), প্রবীর জয় (দৈনিক আজকের তথ্য), মোঃ রফিকুল ইসলাম খান (দৈনিক আমাদের কন্ঠ), তপন পাল (দৈনিক জন্মভূমি), একে আজাদ (দৈনিক প্রতিদিনের কথা), মহানন্দ অধিকারী মিন্টু (দৈনিক ভোরের পাতা), অলিউল্ল্যাহ গাজী (দৈনিক সময়ের খবর), শেখ সেকেন্দার আলী (দৈনিক আমার সংবাদ ও বার্তা সম্পাদক প্রবাসী দিগন্ত), জগদীশ দে (দৈনিক দেশ সংযোগ), স ম নজরুল ইসলাম (দৈনিক তথ্য), মোঃ আব্দুস সবুর (দৈনিক পত্রদূত), দীপ অধিকারী (দৈনিক মুক্ত খবর), সাইফুল ইসলাম (দৈনিক বজ্রকন্ঠ), পলাশ মজুমদার (দৈনিক কালান্তর), এইচএম জিয়াউর রহমান (দৈনিক সত্যপাঠ), পবিত্র মন্ডল (সাঃ সেরা খবর) প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাইকগাছা উপজেলা সদরে কর্মরত সাংবাদিকদের ১০টি পর্যাবেক্ষণ কার্ড সরবরাহ করা হলেও উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কপিলমুনিতে কোন সাংবাদিককে নির্বাচন পর্যাবেক্ষন কার্ড সরবরাহ না করায় ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। স্বাধীনতাত্তোর এবারেই প্রথম সংশ্লিষ্ট দপ্তর কতৃক দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্য খ্যাত কপিলমুনিতে কর্মরত সাংবাদিকদের হয়রানীসহ নির্বাচন পর্যাবেক্ষণ করা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টা থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেন। সর্বশেষ রাত ৮ টায় ডিসি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ পাইকগাছা ও কপিলমুনিতে কর্মরত সাংবাদিকরা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন পরবর্তী এক সভা আহবান করে এহেন অশোভন আচারনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। যা বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে পাইকগাছার কতিপয় সাংবাদিক পাল্টা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে “প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত বিষয়ের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই এবং নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহের জন্য পেশাদার সাংবাদিকদের কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে” মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত সংবাদে প্রতিয়মান হয় যে, পাইকগাছায় নির্বাচন পর্যাবেক্ষণ কার্ড প্রাপ্ত ১০ জন সাংবাদিকই পেশাদার সাংবাদিক? অন্যদিকে বঞ্চিত অপেশাদার সাংবাদিকরা শুধুমাত্র নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আচরণ ও কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মাত্র। যার প্রতিবাদ জানালে সেই কর্তৃপক্ষ জানাবে তাতে পেশাদারদের গাত্রদাহ হবার কি আছে ? তাহলে ধরে নেয়া অমূলক হবে না যে, কার্ড না দেয়ার পিছনে কতিপয় পেশাদারের হাত রয়েছে। সভায় এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও গঠনমূলক সমালোচনা যেমন নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে তেমনি অসত্য ও তথ্য বিবর্জিত সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। তোষামোদি, দালালী ও চাটুকারি সাংবাদিকতা বাদ দিয়ে সাংবাদিক নিরপেক্ষতার প্রশ্নে আপোষহীন থেকে মানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্রকে সমূন্নত রাখার জন্য দায়িত্বশীল হতে হবে। সকলকে সংবাদে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে যে কোন সাম্প্রদায়িকতা এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
খবর৭১/এসঃ