পাইকগাছায় মাটি কাটতে গিয়ে কয়েক শ’ বছরের পুরণো ষষ্টী ঠাকূরের মূতী উদ্ধার; এক নজর দেখতে জনতার উপচে পড়া ভীঁড়

0
317

শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:
পাইকগাছার কাশিম নগর এলাকায় মাটি কাটতে গিয়ে ষষ্ঠী ঠাকুরের একটি মূর্তী উদ্ধার হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার কাশিমনগর ঘোড়া বট তলায় কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় শ্রমিকরা সেখানে একটি পূজা মন্ডপের ভেতর মাটি ভরাটের কাজ করছিল। এক পর্যায়ে ডোবার মধ্যে মাটি কাটার সময় কোদালের সাথে মূর্তীটি উঠে আসে। এলাকাবাসী সেখান থেকে মূর্তীটি উদ্ধার করে স্থানীয় অধীর পালের ছেলে নারায়ন পালের বাড়িতে রেখেছে। খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ মূর্তীটি এক নজর দেখার জন্য ভীঁড় জমাচ্ছে নারায়ন পালের বাড়িতে। পূজাও দিচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এলাকাবাসী জানান,মূর্তীটি নব নির্মিত ষষ্ঠী পূজা মন্দিরেই স্থাপিত হবে।
পাইকগাছার সংশ্লিষ্ট রাম নগর ইউপি সদস্য মোঃ সালাম মোড়ল এ প্রতিনিধিকে জানান,গত ২০ জানুয়ারী দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে তার ওয়ার্ডের কাশিমনগর ঘোড়া বট তলা এলাকায় একটি ষষ্টী পূজা মন্দির স্থাপনে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে কর্মসৃজন কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছিল। এসময় কাশিমনগর এলাকার জনৈক শ্রমিক নির্ম্মল মন্ডলের কোদালে মূর্তীটি ঠেকলে অন্যান্যরা তা উদ্ধার করেন। সর্বশেষ মূর্তীটি স্থানীয় নারায়ন পালের বাড়িতে সংরক্ষিত আছে। তিনিসহ এলাকার নারায়ন পাল,মাছিয়াড়ার আশুতোষ দাশ জানান,চুন-সুড়কির তৈরী স্তম্ভের উপর ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরী মূর্তীটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে বসানো রয়েছে। তবে ধাতব পদার্থটি কিসের তা চিহ্নিত করা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে,সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত জনপদের বট তলায় সেই আদিকাল থেকে সনাতনীরা ষষ্টীপূজা অর্চনা করে আসছে। কালের বিবর্তনে তা মাটির নীচে চলে যায়। তবে সেখানে মূর্তীটি ঠিক কোন সময়ে স্থাপিত হয়েছিল তাৎক্ষণিক তার কোন হিসাব পাওয়া না গেলেও চুন-সুড়কির গম্বুজের ব্যবহার দেখে ধারণা করা হচ্ছে সিমেন্টের ব্যবহারের অনেক আগেই মূর্তীটি ঐ বট বৃক্ষ তলে স্থান পেয়েছিল। অনেকের ধারণা,কয়েক শ’ বছরের পূরণো বট গাছটি সেখানে লাগানো হয়েছিল মন্ডপটিকে ঘিরেই।
প্রসঙ্গত,এই জনপদে ইতোপূর্বে একাধিক পূরা কীর্তির নিদর্শন পাওয়া গেলেও সরকারিভাবে তার তদারকি বা অনুসন্ধান না করায় সেগুলো সেভাবেই রয়ে গেছে। বিশেষ করে ঐএলাকার দমদমাগুলো চলে গেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন। অচিরেই সেগুলো প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আয়ত্বে নিয়ে সেখানে অনুসন্ধান করলে নতুন নতুন প্রত্নত্ব নিদর্শণ উদ্ধারের সাথে বেরিয়ে আসতে পারে ইতিহাস আর ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জনপদের অনেক অজানা ইতিহাস।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here