খবর ৭১ঃকাশ্মীর নিয়ে তার লেখা বই ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে গিয়ে থাকার কথাও অনেকে বলেছেন। এরই মাঝে কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজ।
কাশ্মীরের ইতিহাস এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে বই লিখেছেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজ। আগামী সপ্তাহে তার লেখা বইটি প্রকাশিত হবে।
সরাসরি কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৈফুদ্দিন। সমর্থন জানিয়েছেন পারভেজ মুশারফের বক্তব্যকে।
তার কথায়, মুশারফ বলেছিলেন যে কাশ্মীরবাসী স্বাধীনতা চাই। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়তে আগ্রহী নয়। মুশারফের ওই বক্তব্য একদম সঠিক ছিল। আমিও সেটাই বলছি। যদিও তা কখনোই সম্ভব নয়।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সৈফুদ্দিন সোজের লেখা বই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে চলতি শুক্রবারে থেকে। কাশ্মীর বিষয়ে নতুন তত্ত্ব নিয়ে এলেন তিনি।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের যে বিবাদ চলছে তার সমাধানের উপায়ও বাতলেছেন তিনি। সৈফুদ্দিন সোজ জানিয়েছেন একমাত্র পরমাণু যুদ্ধের মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব।
১৯৪৭ সালে দেশ ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টি হলেও কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যা এখনও বিদ্যমান।
কাশ্মীরের একটা বড় অংশ পাকিস্তানের দখলে রয়েছে, যা অধিকৃত কাশ্মীর নামে পরিচিত। সেই এলাকার দখল নিতে মরিয়া দিল্লি।
পরমাণু যুদ্ধের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজ। তার কথায়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর কখনোই ভারতের অঙ্গ হবে না। যতক্ষণ না ভারত এবং পাকিস্তান এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হচ্ছে।
অন্যদিকে সৈফুদ্দিন সোজের লেখা বই ঘিরে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিজেপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো।
এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে হাত শিবির। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়বস্তু সঠিক হলে তা বইয়ের বিক্রির জন্য চমক মাত্র।
সুরজেওয়ালা বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস সোজের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। বই বিক্রির জন্য এ ধরনের সস্তা মন্তব্যে সত্যিটা বদলে যাবে না যে, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কংগ্রেস ওই মন্তব্য খারিজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
খবর ৭১/ইঃ