নড়াইলে সরকারি দপ্তরে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিমান ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা

0
348

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় নড়াইলের লক্ষীপাশা সাব জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায় ২০১৬ সাল পর্যন্তজেলায় মোট বকেয়া বিলের পরিমান ছিল প্রায় ৪ কোটি টাকা। নড়াইলের লক্ষীপাশা সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মোঃ শরিফুল ইসলাম নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আমি ১৭ জুলই ২০১৬ সালে যোগদানের পর ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত বকেয়ার পরিমান ২ কোটি ৫৩ লাখে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে সরকারি দপ্তরের বিলগুলি পরিশোধিত হলে বকেয়ার পরিমাণ আরও কমে আসবে। নড়াইলের লোহাগড়ায় সরকারি দপ্তরে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় ১৬ লাখ টাকায় দাড়িয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় ১০ লাখ ৬২ হাজার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে। অফিস সূত্রে আরও জানা যায় চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে বকেয়া ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫০ টাকা, উপজেলা পরিষদের সড়ক বাতির বিল ৭২ হাজার ১৬০ টাকা, নড়াইলের লোহাগড়া থানার বকেয়া ২৬ হাজার ৫০৮ টাকা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বকেয়া ২৩ হাজার ৩৬৫ টাকা, সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের বকেয়া ১৮ হাজার ৬৬৪ টাকা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বকেয়া ৭ হাজার ৫২ টাকা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প অফিসের বকেয়া ৭ হাজার ৮১৩ টাকা, উপজেলা সমবায় অফিসের বকেয়া ৫ হাজার ৮৩৩ টাকা, মৎস্য অফিসের বকেয়া ২ হাজার ৬২২ টাকা, এলজিইডি আফিসের বকেয়া ১৪ হাজার ৮৪৯ টাকা, মহিলা বিষয়ক অফিসে ২ হাজার ৫৫৮ টাকা, সমাজসেবা দপ্তরের বকেয়া ২ হাজার ২৮৪, আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে ৯০৫ টাকা, দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৫৪ টাকা, নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া ৮ হাজার ৯৬২ টাকা, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১৬ হাজার ৭৫০ টাকা, লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৩০ হাজার ৪০টাকা, জয় পুর ইউনয়ন পরিষদে ৭৮১ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে। লম্বা বকেয়ার দায় প্রসংগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, এ বিলের দায় আমার একার না। আমার পূর্বের মেয়র এর সময় কালে বেশ কিছু বিল বকেয়া ছিল। আমি দায়িত্বে আসার পররেও কিছু বিল পরিশোধ করেছি। তবে আগামীতে বাকি বিল পরিশোধের চেষ্টা করব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, আগামী জুন ক্লোজিংএর আগে রাজস্ব থেকে সমন্ময় করে রেজুলেশনের মাধ্যমে বিলগুলি পরিশোধ করা হবে। নড়াইলের দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার ঘোষ বলেন, এক দুই মাসের বিল বাকি পড়লেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে লাইন কেটে দেয় তাই জানতান। কিন্তু কিভাবে এত বিল বকেয়া হল তা আমি জানি না। বর্তমানে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ৪০০ টাকার বিনিময়ে সাইড লাইনের মাধ্যেমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি। নড়াইলের লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় পুলিশ ফাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারাই পরিষদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তাদের কাছ থেকে বিল নিয়ে পরিশোধ করে দিব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুর রহমান নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, জুনের আগে বরাদ্দ পেলে আমরা বিল পরিশোধ করে দিতে পারব।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here