উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের ৩ উপজেলায় এবার ৫৬৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ৮ দিন বাকি। এ জেলার ৫৬৩টি মন্ডপে রঙতুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, প্রতিদিন একটু একটু করে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন তারা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়,আগামী ১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। ১৯ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
জেলা পূজা উদযাপন পর্যদের সভাপতি অশোক কুমার আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, এ বছর জেলাশহরসহ ৩টি উপজেলায় মোট ৫৬৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শিল্পীরা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন। এখন চলছে তুলির আঁচড়। পাশাপাশি শহর ও উপজেলা সদর এবং বিভিন্ন হাটবাজার এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ।
জেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়,এ বছর সদর উপজেলায় ২৫৫টি মন্ডপে,লোহাগড়ায় ১৬১টি মন্ডপে এবং কালিয়া উপজেলায় ১৪৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে শারদীয় উৎসব পালনে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, পূজামন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো পুলিশ-আনসার-ভিডিপির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া ছাড়াও থাকছে পুলিশের নিয়মিত টহল।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কমল আঁখি বিশ্বাস আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, ‘পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন।’ শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে বেচাকেনা জমে উঠেছে জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র রূপগঞ্জ, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা সদরের গার্মেন্টস,শাড়ি ও ছিট কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন কসমেটিকসের দোকানে। স্বর্ণের দোকানের কারিগররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন অলংকার তৈরির কাজে।
খবর৭১/ইঃ