উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
দুই দশক আগেও হালের গরু আর গরুর গাড়ি ছিল কৃষকের চাষাবাদ কাজসহ বিভিন্ন কাজের প্রধান উপকরণ। কালের বিবর্তনে এখন আর দেখা মেলে না গরুর গাড়িসহ হালের গরুর। আগের কৃষি কাজের প্রধান উপকরণের চিত্র হারিয়ে যাওয়ার পথে। সে জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে আধুনিক যান্ত্রিক প্রযুক্তি।গ্রাম বাংলায় গরুর বদলে যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এক সময় কৃষিকাজে গরুর লাঙল-জোয়াল আর গরুর গাড়ির ছাড়া চলতো না কৃষকের। সে জায়গা সময়ের পরিবর্তনে এখন দখল করে নিয়েছে প্রযুক্তি। গরুর লাঙল এর জায়গায় কলের লাঙল, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার। প্রতিটি স্তরে যোগ হচ্ছে এক একটি প্রযুক্তি, যা দুই দশক আগে কৃষিকাজসহ কৃষকের ছিল স্বপ্ন।নড়াইলের এলাকার আলীম বলেন, এই তো এক যুগ আগের কথা প্রায় প্রতিটি পরিবারেই হালের গরুর ছিল। আবার গরুর গাড়িও ছিল তাদের, অনেকের পরিবারের আয়ের উৎস ছিল গরুর গাড়ি। আর এই গাড়ির ওপর নির্ভর করে চলতো তাদের সংসার। এখন আর গরুর গাড়ির দেখা মেলে না। নড়াইলের বিপ্লব হাসান নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, সময়ের পরিবর্তন ঘটেছে, আর আগে চলাচলের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই গরুর গাড়িই ছিল এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। আর এখন রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। নড়াইলে আবার কালের পরিবর্তনে ইঞ্জিনচালিত গাড়ির পাশে গরুর গাড়ির টিকে থাকাটা সম্ভব হচ্ছে না বলেই গরুর গাড়ি হারিয়ে যাওয়ার পথে। কৃষি কর্মকর্তা নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান,বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে ধান লাগাবো মেশিনের সাহায্যে। আবার ধান কাটার সময় একেবারেই ধানী জমি থেকেই বস্তাবন্দী হয়ে যাবে। এক বিঘা জমিতে শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটালে খরচ হবে ২-৩ হাজার টাকা। আর যন্ত্রের সাহায্যে কাটলে খরচ হবে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পযর্ন্ত। কৃষিতে যান্ত্রিক করণের একটা বিরাট সুফল, এই কারণেই কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো উচিত।নড়াইলের সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বলেন, গরুর গাড়ি লাঙলসহ আগের যে যন্ত্রাংশগুলো ব্যবহার করা হতো, সেটার পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। অবশ্যই বাঙালী সংস্কৃতি আস্তে আস্তে লোপ পাচ্ছে। আসলে সময়ের পরিবর্তন আমাদের তো আর কিছু করার নেই। তবে এই পরিবর্তনটা আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। আমাদের শিল্পায়নের যুগে এটা রোধ করা কখনোই সম্ভব নয়।
খবর ৭১/ ই: