নড়াইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হুমকিতে জিবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করলেন ইউএনও ?

0
1912

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

নড়াইলের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর নামে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করলেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিডিতে উল্লেখ করেছেন যে, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছেন। দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে জিআরের আওতায় বেশ কিছু ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ নিয়ে আসেন এবং আমাকে ওই প্রকল্পের বিলে স্বাক্ষর করতে বলেন। ভুয়া প্রকল্প হওয়ায় আমি বিলে স্বাক্ষর করি নাই। স্বাক্ষর না করায় চেয়ারম্যানের আনিত ৩৯,০০,০০০/- উন চল্লিশ লক্ষ টাকা সংশিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে ফেরৎ চলে গেছে। আর এ কারণে আমার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্ধ ও শত্রুতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তিনি প্রকাশ্যে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। তার অব্যহত হুমকিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরী (জিডি) সুত্রে আরও জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তিনি দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ-প্রকাশ বাহিনীর সহযোগী ছিলেন এবং তিনি একজন পেশাদার খুনি। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি দূর্নীতি মামলার আসামী। তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্বসাৎ করায় দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) তার নামে মামলা দায়ের করে। তার অব্যহত হুমকি এবং টেলিফোনিক আলাপে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ,নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান ,সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জিডি নং ১৫৭৬, তাং ২৮-২-২০১৮ইং। (২৮ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন ঘুষখোর অফিসার। তিনি দু হাত দিয়ে ঘুষ খান। এ ব্যাপারে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষজন অবগত রয়েছেন। তার সাথে আমার কোন বিষয়ে দ্বন্ধ নাই, শত্রুতাও নাই। প্রয়োজন ছাড়া তার সাথে আমার ফোনে কোন কথা হয় না’।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here