নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি গ্রেফতার

0
203

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:নড়াইলের দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে (৪৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম এর সহযোগিতায়, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশের একটি দল ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শরীফ মনিরুজ্জামান ও তাঁর ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার করে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লোহাগড়ায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে ওইদিন রাত পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত পলাশের বড় ভাই সাইফুর রহমান হিলু। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মাসুদজ্জামান মাসুদ, দিঘলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহম্মেদ মাসুম, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি স ম ওহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামানের ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহ, সোহেল খান, শেখ বনিরুল ইসলাম বনি, শেখ পনিরুল ইসলাম কটো, হেদায়েত আলী হোসেনসহ ১৫জন। জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার শরীরে একাধিক গুলি ও কোপের চিহৃ ছিল। এদিকে, সদর হাসপাতালে নিহত পলাশের ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাড়িতে চেয়ারম্যান পলাশকে দাফন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনেরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে অফিসের কাজে লোহাগড়া উপজেলায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশকে প্রথমে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। তিন থেকে চারজন দুর্বৃত্ত এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয় এবং তাদের মুখ ঢাকা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলা চত্বরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পলাশের মৃত্যুদেহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম,আমাদের জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ঢাকা থেকে থানা পুলিশের একটি দল থেকে গ্রেফতার করে। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শরীফ মনিরুজ্জামান ও তাঁর ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here