উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি শনিবার :
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নের্তৃত্বে ৩০ দিন পর বাড়ি ফিরল ১০০ পরিবার! এসময় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আসামিপক্ষের অত্যাচার ও ভয়ভীতির কারণে বাড়িছাড়া নড়াইলের পারমলিকপুর গ্রামের ১০০ পরিবারকে বাড়িতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।
এসময় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানাগেছে, পারমলিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল ঠাকুর ও সাবেক ইউপি সদস্য হিমায়েত হোসেন পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল।
এরই জের ধরে গত ২১ এপ্রিল উজ্জ্বল ঠাকুর পক্ষের লোকজন খায়ের মৃধাকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এদিকে, খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত খায়ের মৃধার স্বজন ও পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ আসামিপক্ষের প্রায় একশত পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে।
অত্যাচার ও হুমকি ধামকিতে বাড়িঘর ছেড়ে ওইসব পরিবার তাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
ভুক্তভোগী পরিবার গতকাল নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। তারা বাড়িতে উঠতে পারছেন না এ বিষয়ে অবহিত করেন। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে শুক্রবার বেলা ১১টায় খলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে বলা হয়। সেখান থেকে তাদের সঙ্গে করে পুলিশ বাড়িতে তুলে দেয়। শুক্রবার
এসব পরিবারের সদস্যরা সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসানের কাছে তাদের ওপর অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ওই খুনের পর তাদের মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে বাড়িতে উঠতে গেলেও মারধর করেছে। ঘরের মালামাল ও গরু ছাগল লুট করেছে, গাছপালা ও খেতের ফসল কেটে নিচ্ছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান এ বিষয়ে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ভূক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই গ্রামের দুলাল ঠাকুর, আনিস ঠাকুর, অকি শেখ, আল আমিন ঠাকুর ও সাইফুল মৃধাকে আটক করা হয়েছে। ওইসব পরিবারের শান্তি বজায় রাখার জন্য যা যা করণীয় সকল ব্যবস্থা করা হবে।
খবর৭১/এস: