উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে ১২০ মণ ওজনের পিতলের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১৬ বছরের ঐহিত্যবাহী এ রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। এ উপলক্ষ্যে মন্দির চত্বর থেকে উল্টো রথযাত্রা, আলোচনা সভা, প্রসাদ বিতরণ ও মেলাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মালম্বী শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলা সৃষ্টি হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কমলাখী বিশ্বাস, কালিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক ঘোষ, কালিয়ার ভামিনীরঞ্জন সেনের দেবত্র মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা সাধন শিকদার, পুরোহিত প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য, মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দাস, নড়াইলে কালিয়া হরিসভা কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি সমীর কুমার সাহা, আনন্দ ঘোষ প্রমুখ। রোববার (২২ জুলাই) দুপুরে নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কমলাখী বিশ্বাস, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ভামিনীরঞ্জন সেনের রথখোলা দেবত্র মন্দিরটি ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১১৬ বছরের ঐহিত্যবাহী রথযাত্রা অনুষ্ঠান আরো প্রাণবন্ত করতে সনাতন ধর্মের সবার সহযোগিতাসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কমলাখী বিশ্বাস, কালিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক ঘোষ, কালিয়ার ভামিনীরঞ্জন সেনের দেবত্র মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা সাধন শিকদার, পুরোহিত প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য, মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দাস, কালিয়া হরিসভা কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি সমীর কুমার সাহা, এডভোকেট আনন্দ আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ভামিনীরঞ্জন সেনের দেবত্র মন্দিরের ৬৭ শতক জায়গা দখলবাজদের কালোথাবা থেকে সুরক্ষার দাবি করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ ভক্তরা। মন্দিরের জায়গা এক শ্রেণীর লোক দখল করতে চায় বলে অভিযোগ করেন তারা। জানা যায়, ভামিনীরঞ্জন সেনের রথখোলা দেবত্র মন্দিরটি ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত। এদিকে, নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ জুলাই প্রথম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
খবর ৭১/ইঃ