উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই সবুজের সমারোহ। চৈত্রের বাতাসে মাঠে মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আর এমনই স্বপ্নই দুলছে নড়াইলের প্রতিটি মাঠে। কৃষকরা আশায় বুক বাঁধছেন ভাল ফলনের পাশাপাশি ধানের সঠিক মূল্য পাবেন। পুষিয়ে নিতে পারবেন বিগত বছরের ক্ষতি। সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, কেউ জমির আগাছ পরিস্কার করছেন, কেউ বা জমিতে সার বা কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্তু পরিশ্রম করছেন কৃষকরা তাদের স্বপ্ন পুরনের জন্য। সদর উপজেলার সিমানন্দপুর গ্রামের ইশরাত শেখ বলেন, চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে বোরো আবাদ করেছি, আশা করছি ভাল ফলন হবে। নড়াইলের দেবি গ্রামের দুখু মিয়া বলেন, বিগত সময়ে আমরা ধানের নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সরকার বেশি দামে ধান কিনলেও আমদের মত সাধারণ কৃষকেদের কাছ থেকে ধান না কেনার কারণে আমরা সঠিক দাম পাইনা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি। নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নওয়াগ্রামের শেখ বাদশা মিয়া বলেন, বোরা আবাদে আমাদের খরচ অনেক বেশি হয় কারণ এখান জমিতে পানি, সার-কীটনাশক কিনে দিতে হয়। আমান মৌসুমে ধান লাগিয়ে আমাদের খরচ ওঠেনি। ধানের দাম প্রতিমন কমপেক্ষে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলে আমরা লাভবান হবো। এসময় সরকারের প্রতি কৃষকের থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবিও জানান তিনি। নড়াইলের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায়, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪ হাজার ৫’শ ৮০ হেক্টার জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪৬ হাজার ৬’শ ৪০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৬০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষকরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা এবছর ধানের নায্য মূল্য পাবে।
খবর৭১/এসঃ