নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন মধুমতি নদীর উপর কালনা সেতুর অগ্রগতি!

0
390

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল ও গোপালগঞ্জবাসীসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন বিশেষ করে। নড়াইলের কালনা মধুমতি নদীর উপর একটা সেতু দেখবার। স্বপ্ন চোখে নদী পার হতে এখানে দুপাড়ের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়। নড়াইলের কালনা সেতুর, যাত্রীদের ফেরির জন্য বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, ২০১৪ সালে কালনা ঘাট পরিদর্শন করতে এসে তৎকালীন ও বর্তমান যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ২০১৭ সালে শেষ হবে নড়াইলের কালনা সেতুর কাজ। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি নড়াইলের কালনা মধুমতি নদীর উপর সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আবার এগিয়ে আসেন তিনি। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নড়াইলের কালনা সেতু নির্মাণের বিলম্বের প্রধান কারণ হলো পরিকল্পনার একাধিক পরিবর্তন। প্রথমে সেতুতে রেল লাইন সংযোজন করার কথা ছিল। পরবর্তীতে আলাদা রেল লাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৪ লেনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তের পর ৬ লেন বিশিষ্ট সেতু তৈরির প্রস্তাব এলে বাড়তি অর্থ দিতে দেরি করে জাইকা। পিছিয়ে যায় নড়াইলের কালনা মধুমতি নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০১৮ সালের জুন মাসে জাইকার সহযোগিতায় ও দেশীয় অর্থে তিনটি কোম্পানি টেক্কেন-আব্দুল মোনেম লিমিটেড-ওয়াইবিসি যৌথভাবে এ সেতু নির্মাণ কাজ হাতে পায়। ব্রিজের কাজ শুরু হয়। সেতুর বাজেট ধরা হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা। নদীরে ওপর ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৬ লেনের এ সেতু নির্মাণে সিমেন্ট সরবরাহ করবে দেশের বসুন্ধরা সিমেন্ট। গত তিনটি কোম্পানীর সাথে এ বিষয়ে চুক্তি সই করেছে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড। ২০২১ সালে এই সেতুর কাজ শেষ হবে ধারণা করা যাচ্ছে। নড়াইল ও গোপালগঞ্জ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে সেতুটি। দূরত্ব কমে যাবে রাজধানীর থেকে স্থল বন্দর বেনাপোলের। নড়াইলের কালনা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবে নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের। বদলে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ব্যাবস্থা। পদ্মা ও নড়াইলের কালনা সেতুর সাহায্যে বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়ক পথে ব্যবসায়ীরা কম খরচে ও কম সময়ের ব্যবধানে পণ্য পরিবহন করার সুযোগ পাবে। ফেরির জন্য সাধারণ যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here