নৌকার বিপক্ষে অবস্থানকারী এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আ.লীগ

0
261

খবর৭১ঃ উপজেলা নির্বাচনে নৌকার মনোনিত দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব মন্ত্রী ও এমপিরা অবস্থান নিয়েছিলেন বা নিচ্ছেন তাদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

রবিবার (৩১ মার্চ) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষ তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

হানিফ বলেন, ‘আগামী ৫ এপ্রিল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকেই দলের বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহীদের পক্ষাবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হবে। আজকের বৈঠকে দলের আগামী সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রস্তুতি ও মুজিব বর্ষ পালনে গঠিত দলের আটটি টিমের খসড়া করা হয়েছে। এই সংসদের বৈঠকে সেগুলোর অনুমোদন পাওয়ার পর, প্রস্তুতির কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

অক্টোবরে আওয়মী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলের জন্য ৮ টি বিভাগে ৮ টি কমিটির খসড়া টিম করা হয়েছে। ৫ এপ্রিল কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই টিমগুলোযাচাই বাছাই, সংযোজন-বিয়োজন করে চূড়ান্ত করা হবে।’

এফ আর টাওয়ারে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা সম্পর্কে বিএনপির করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যাচার দাবি করে হানিফ বলেন, ‘সরকার গত ১০ বছরে ফায়ার সার্ভিসের দ্বিগুন উন্নতি করেছে, ক্ষেত্রবিশেষে তিন গুন। এই অগ্নিকাণ্ডের পর আমাদের উদ্ধার কর্মীরা যে দক্ষ্য ভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছে ঘোটা জাতি যখন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সে সময় আমরা দেখছি আমাদের দেশের একটি জনবিচ্ছিন্ন দলের নেতারা মিথ্যাচার করছেন যে, বর্তমান সরকার ফায়ার সার্ভিসের কোন উন্নয়ন করেনি। এটা পুরোপুরি মিথ্যাচার। বর্তমান সরকারের সময় ফায়ার স্টেশন ও জনবলদ্বিগুণের বেশি হয়েছে। নতুন অনেক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৯৮টি ফায়ার সার্ভিস প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যারা এই সরকারের আমলে ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করা হয়নি বলে মিথ্যাচার করছে তাদের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

বাকশাল নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। বিএনপির যে নেতারা বাকশাল নিয়ে বিশেদাগার করছেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও বাকশালের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছিলেন। বাকশাল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি কনসেপ্ট ছিল।’

ড. কামাল হোসেনের পুনরায় নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দেবে। তিনি তাতে অংশ নেবেন বলে আশা করি। গত নির্বাচনে ড. কামালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের জনবিচ্ছিন্নতাই প্রমাণিত হয়েছে। জাতির কাছে তাদের দাবির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কৃষি সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলি, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মি আহম্মেদ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, এসএম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবির কাওসার, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here