খবর ৭১ঃ ফেনীর সোনাগাজীতে নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় মাদরাসার অধ্যক্ষের লোকজনের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া নুসরাত জাহান রাফির তদন্তে যেন কুমিল্লার কলেজছাত্রী তনুর মতো সময় না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক করেছে হাইকোর্ট।
বিষয়টি ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এতে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে।
আদালত বলে, ‘যেহেতু বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো আদেশ দিতে চাই না। আমরা শুধু বলব, নুসরাতের ঘটনা তনু বা অন্যদের মতো যেন হারিয়ে না যায়। নুসরাত খুনের বিষয়ে তদন্তকাজে যেন কোনো গাফিলতি না থাকে।’
আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যায় ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।
৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে—এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকা পরা চার-পাঁচ জন তাকে মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এর আগে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার পাওয়ার হাউসের অদূরে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয় কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ। এই হত্যা মামলার তদন্ত তিন বছরেও শেষ হয়নি। এমনকি এ মামলার আসামিও শনাক্ত হয়নি। এ কারণেই আদালত নুসরাতের মামলার বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছে।