নীলফামারী-৪ আসনে জয়ের পথে মহাজোটের লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আদেল

0
592

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ মিলে নীলফামারী-৪ আসন। এ আসনের হেভিওয়েট ও ছয়বারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের প্রার্থীতা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে জাপা (এ) মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত লাঙ্গল মার্কার তরুণ প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান জয়ের পথে রয়েছেন বলে ওই দুই উপজেলার একাধিক সাধারণ ভোটারের মুখে মুখে আলোচনা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে নীলফামারী-৪ আসনটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঢাকাসহ সারাদেশে আকাশপথে যাতায়াত করেন। যার কারণে এই আসনটি যে দলের দখলে থাকে সেই সংসদ সদস্যের মর্যাদা অন্য এমপিদের তুলনায় একটু বেশিই বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রার্থীর প্রার্থীতা আদালত কর্তৃক স্থগিত হওয়ায় মহাজোট প্রার্থীর জয়ের পথে বলতে গেলে প্রধান কোন বাধা রইল না।
তাছাড়াও নীলফামারী-৪ আসনটি বরাবর আ’লীগ ও জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। গত দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী চারবার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী চার ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দুইবার বিজয় লাভ করে। এ বারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় ভোট যুদ্ধের মাঠে রয়েছেন মহাজোটের আহসান আদেলুর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলহাজ্ব মাওলানা শহিদুল ইসলাম (হাতপাখা), ভাসানী ন্যাপের চেয়ারম্যান ও এনপিপি মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার (আম) ও ¯^তন্ত্র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ (সিংহ)।
এমন অবস্থায় সাধারণ ভোটারদের বেশির ভাগের আলোচনায় আছেন লাঙ্গল মার্কা আর নারী নেতৃত্ব বিরোধী মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র অংশ হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর কথা মুখে আনছেন। এনপিপি ও ¯^তন্ত্র প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের মাঝে আলোচনা নেই বললে চলে।
গত দশম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীর কোন প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী না থাকায় তিনি জয়ী হয়েছিলেন। তবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে প্রধানত আ’লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ভোট যুদ্ধ করেছিল। সেবারের ভোটের ফলাফলে আ’লীগ প্রার্থী কর্ণেল (অব.) এএ মারুফ সাকলান ৮৭ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ছিল জাপার প্রার্থী আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৭০ হাজার ২৩৭। আর বিএনপির প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ৬০ হাজার ২১৪। সেই হিসাবে আ’লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে নীলফামারী-৪ আসনে ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৫৭ হাজার অর্থাৎ বিএনপির প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে মহাজোটের ভোট আড়াই গুণেরও বেশি। এ কারণে ভোটাররা বলছেন ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here