খবর ৭১ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত মডেল হিরো আলম নিজের ভোটটিও দিতে পারেননি। তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেন ব্যালটই নেই।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই আক্ষেপের কথা জানান হিরো আলম।
৩০ ডিসেম্বর সকালে ‘হামলা-মারধর ও এজেন্টকে বের করে দেয়াসহ একাধিক অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হিরো আলম। ভোট গণনা শেষে জানা যায়, সিংহ প্রতীকের এই প্রার্থী সাকুল্যে ভোট পেয়েছেন মাত্র ৬৩৮টি।
হিরো আলমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে তিনি জামানত ফেরত চান। তার যুক্তি হচ্ছে- তার কর্মী-সমর্থকরা ভোটই দিতে পারেনি, তা হলে জামানত হারানোর কথা আসে কেন। আর জামানত ফেরত দেয়া হবে না কেন?
হিরো আলম জানান, জনগণ ভোট দিতে পারলে অবশ্যই তিনি জয়ী হতেন। তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে জনগণের যে সাড়া দেখেছেন, তাতে তার বিজয় অনিবার্য ছিল বলে জানান হিরো আলম।
জনপ্রিয়তাই কাল হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আমার তো এটিই মনে হয়। কারণ আমি তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। আমাকে আটকাতে যাবে কেন, তাই না? তা ছাড়া তো আমার সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব থাকার কথা না।
ভোটে থাকতে পারলে জয় পেতেন কিনা, এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আমি ভোটে থাকলে অবশ্যই জয়যুক্ত হতাম।
ভোট দিতে পেরেছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নে হিরো আলমের সরাসরি জবাব, আরে না।।নিজে ঢুকতেই তো ওখানে মারামারি লেগে গেল। এ জন্য মনে করেন, কিছু করতে পারিনি।
ভোটকেন্দ্রে হামলার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে দেখি, ব্যালটই নাই। আমি জানতে চাইলাম ব্যালট নেই কেন? বলল, ব্যালট আনতে গেছে। এই নিয়ে কথাবার্তা বলতে বলতে ধাক্কা-ধাক্কি করতে করতে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসলাম। আরেক কেন্দ্রে আসলাম- এখানেও মারামারি। আমার সঙ্গে মারামারি লাগছে তিন কেন্দ্রে।
আপনার ওপরেই কেন আক্রমণ করা হল, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আঘাতটা করা হল মনে করেন, আমি তো হাতেনাতে ঘটনাটা ধরছি, প্রতিবাদ করছি। এদের কথা- ‘তুই চুপ থাক।’ আমি তো আবার প্রতিবাদী ছেলে। প্রতিবাদ ছাড়া থাকতে পারি না। আমার চোখের সামনে কোনো অন্যায়-অত্যাচার হলে আমি তা মুখ বুঝে সহ্য করতে পারি না- এটিই আমার অপরাধ।
প্রসঙ্গত, ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান আর নাচ দেখিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তার প্রকৃত নাম আশরাফুল আলম। তিনি এর আগেও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত এই ‘হিরো’।