‘নিজের নয়, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করি’

0
383

খবর ৭১ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ অনেক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু যে রাজনীতি আমি আমার বাবার কাছ থেকে, মায়ের কাছ থেকে শিখেছি সেটি হলো নিজের উন্নয়নের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা, তাদের সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া।’

 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে শেখ হাসিনাকে।  

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতিসংঘের স্বীকৃতিপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর পর একটি স্মারক ডাক টিকিট ও ৭০ টাকার স্মারক মুদ্রা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

পরে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সামরিক সচিব।

 

পরে স্পিকারের পক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব আরা গিনি, রফিকুল ইসলাম; প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী; মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে অর্থ, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

 

বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদও শুভেচ্ছা জানান। ১৪ দলের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ নাসিম, রাশেদ খান মেনন; মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শুভেচ্ছা জানান।

 

সেনা, বিমান, নৌবাহিনীর প্রধানরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। শ্রদ্ধা জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকেও।

 

এ ছাড়া শিক্ষাবিদদের পক্ষ থেকে আনিুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, ফারজানা ইসলাম ব্যবসাযীদের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সেলিমা আহমেদ, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম; সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান; কবি ও সাহিত্যিকদের পক্ষ থেকে শামসুজ্জামান খান ও সেলিনা হোসেন; শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, আবুল হাশেম খান, আতাউর রহমান; পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে তানিয়া বেগম, অ্যারোমা দত্ত, সুরাইয়া বেগম; এনজিও প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, বেগম রোকেয়া, মহসিন আলী; ক্রীড়াবিদ মাশরাফি. সাকিব, মারিয়া আক্তার সীমান্ত শুভেচ্ছা জানান।

 

 

 

এ ছাড়া শ্রমজীবীদের পক্ষ থেকে মোর্শেদা মধুসুধন সরকার, আবদুর রাজ্জাক, একজন পোশাক শ্রমিক, একজন রিকশাচালক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

 

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির উদযাপন শুরু হয়।

 

এ উপলক্ষে বিকেল ৩টায় বের হবে বর্ণাঢ্য র্যালি। রাখা হয়েছে সান্ধ্যকালীন কর্মসূচিও। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

আজ থেকে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে আনন্দ র্যালি করা হবে। এসব র্যালির মাধ্যমে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হবে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here