মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে নাঈম মিয়া নামে এক ৯ বছরের শিশুকে গলায় ডাল পেছিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিখোজের ১দিন পর স্থানীয় ফরেষ্ট বিভাগের বাফার জোন জঙ্গলের দক্ষিণের ৩নং প্লটে বাঁশতলা নামক স্থান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নাঈমের চাচা জালাল মিয়া (৬০) ভাবে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ৭ টায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। তবে কি কারনে তাকে হত্যা করেছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় স‚ত্র জানায়, ওই উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের লালকেয়ার গ্রামের ফিরোজ মিয়ার পুত্র নাঈম মিয়া (৯) গত মঙ্গলবার একই গ্রামের জালাল মিয়ার পুত্র তোফাজ্জল মিয়া (১৭) ও কামাল মিয়ার পুত্র হৃদয় মিয়া (১০)-এর সাথে খেলাধুলার জন্য হিমালিয়া বাজারে যায়। খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নাঈম মিয়া নিখোঁজ হয়। ওই দিন নাঈম বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ উৎকন্ঠা। এক পর্যায়ে তার পিতা ফিরোজ মিয়া বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুজি করেন। পরদিন গতকাল বুধবার ভোরবেলা স্থানীয় ফরেষ্ট বিভাগের বাফার জোন জঙ্গলের দক্ষিণ দিকে ৩নং প্লটে বাঁশতলা নামকস্থানে নাঈম মিয়ার উলঙ্গ মৃতদেহ দেখতে পায় পাহাড়ি এলাকাবাসী। স্থানীয়রা চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি এস.এম রাজু আহমেদ ও চুনারুঘাট থানার ওসি কে.এম আজমিরুজ্জামানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাঈমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশ প্রেরণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজ আলীর সৎ ভাই জালাল মিয়া (৬০) কে পুলিশ আটক করেছে। এলাকাবাসী জানান, নাঈমের মৃতদেহ জঙ্গলের কাঁদার মধ্যে থাকা অবস্থায় তার গলায় গাছের ডাল পেছানো ও পায়ে রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় দেখা যায়। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কে.এম আজমিরুজ্জামান জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশু নাঈমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার চাচাকে আটক করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে তার গলায় গাছের ডাল পেছিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
খবর৭১/এসঃ