নান্দাইলে থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু কবিতা বাচঁতে চায়

0
404

এবি সিদ্দিক খসরু নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ বাচঁতে চায় কবিতা। চটপটে শিশু কবিতা। প্রতিদিন স্কুলে যায়। মক্তবে পড়ে। গ্রামের ধুলাবালুতে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করে। সবেমাত্র শিশু শ্রেণিতে পড়ে। বয়স ৫ বছর। কিন্তু এমন দুরন্তপনা শিশুটি নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। শরীরে থ্যালাসামিয়া রোগ ধরা পড়েছে । হঠাৎ একদিন তাকে নিয়ে মা-বাবার আলোচনায় শুনতে পায় প্রতি মাসে রক্ত না ভরলে কবিতাকে বাচাঁনো যাবে না। তখনই কবিতা দৌড়ে গিয়ে তারঁ বাবার কোলে উঠে বলে ‘ বাবা আমি কি বাচঁবনা”, আমি কি আর স্কুলে যেতে পারবো না।’ এরকম উক্তি শুনে বাচ্চাকে জড়িয়ে কেদেঁ উঠলো মা-বাবা। জানাযায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অরণ্যপাশা গ্রামের আমজদ আলীর পুত্র হেলাল মিয়া ও মোর্শেদা খাতুনের মেয়ে শিশু কবিতা। কবিতা তাদের ২য় সন্তান। পূর্বে মোর্শেদার এক ছেলে সন্তান ৪ বছরের মাথায় একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপর বছর পরেই মোর্শেদার কোলে মেয়ে শিশু দোল খায়। বাবা-মা ফুটফুটে মেয়েটির নাম রাখে কবিতা। কিন্তু দুই মাস পরেই মা-বাবার কষ্টের জীবন সংসারে নতুন দূর্ভোগের ধ্বনি আসে। শিশু কবিতা ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ডাক্তারী পরীক্ষায় ধরা পড়ে শিশু কবিতা থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কবিতার বাবা দিন মুজুরি করে এবং মা পরের বাড়িতে কাজ করে কোন মতে সংসার চালায়। কিন্তু বাচ্চার এই কঠিন রোগ দেখা দেওয়ায় মাকে বাড়িতে থাকতে হয় কবিতার দেখাশুনার জন্য। মা-বাবার মন বিশাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। গরীবের সংসার কিভাবে এর উন্নত চিকিৎসা করাবে। তবু দিনরাত পরিশ্রম করে ও বিভিন্ন সহযোগীতায় শিশু কবিতার দেহে রক্ত ভরার টাকা যোগাড় করতে হয়। এরপূর্বে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার করিয়েও কোন লাভ হয়নি। এভাবেই চলছে কবিতার জীবন। কবিতার মা মোর্শেদা জানান, অর্থের অভাবে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করাতে পাছেন না। প্রথমে বাচ্চার জ¦র জ¦র অবস্থা দেখে ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হই। জ¦রের ঔষধ খেয়ে স্বাভাবিক ভালো ছিল। কদিন পরেই আবার অসুস্থ পড়ে। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কবিতাকে মাদ্রাজ নিতে হবে। কবিতার বাবা হেলাল মিয়া জানান, প্রতিমাসে মাসে তার শরীরে রক্ত দিতে হয় এবং প্রতিদিন ঔষধের খরচ পড়ে দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। অরন্যপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এমন একটি শিশুর শরীরে ক্যানসার ভাবতে অবাক লাগে। কয়েক দিন আগে স্কুলে এসে তার মা বিষয়টি জানালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা সংগ্রহ করে দিই তার চিকিৎসার খরচের জন্য।’ নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. অনুপম ভট্টাচার্য জানান, ‘শিশু কবিতাকে বাচাঁতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন’। শিশু কবিতা আক্তারকে সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন- তার বাবার মোবাইল-০১৯২২৬০৭৮২০ নম্বরে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here