খবর ৭১: নাগরিক অধিকার ছাড়া মিয়ানমারে ফিরতে নারাজ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের নেতৃত্বে আসা শীর্ষ দলকে এ কথা জানিয়েছেন সে দেশের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।
সোমবার (০২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বালুখালি ট্রানজিট পয়েন্টের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্বের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান প্রধান। ওইসময় তারা রাখাইন সেনাদের নিপীড়ন, নির্যাতন কথাও তুলে ধরেন। রাখাইনের ঘটনা বলার পর আন্তর্জাতিক শীর্ষ দু’সংস্থার প্রধানের কাছে তাদের (রোহিঙ্গাদের) এ আকাঙ্খার কথা তুলে ধরেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতরা।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র সঙ্গে কর্মরত রোহিঙ্গা আলী জোহার বাংলানিউজকে এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নাগরিকত্ব, স্বাধীনভাবে চলা-ফেরা ও কর্মের নিশ্চয়তাসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা মিয়ানমার ফিরতে চান না বলে জানিয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে তারা উখিয়ার রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছান। এর আগে সকাল ১০টার দিকে সৈকত পারের কলাতলীর তারকা হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট থেকে তাদের গাড়ি বহর বের হয় এবং মেরিন ড্রাইভ হয়ে সড়ক পথে উখিয়ার পথে রওয়ানা হন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে এবং বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে আসা দল ইউএনএইচসিআর’র বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্প, কুতুপালং মেইন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং নারীদের আলাদা জায়গা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া চরম দুর্দশার কথা শুনেন।
তিনি আরো জানান, কথা বলা শেষে আন্তোনিও এবং কিমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহযোগিতা দেয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ত্রাণ কেন্দ্র, চিকিৎসা সেন্টার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্পের ডি-ফাইভ ব্লকে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। বিকেলে তারা ঢাকায় ফিরবেন বলে সিডিউল রয়েছে।
