না’গঞ্জে পুলিশের প্রস্তুতি দেখে পালাল বিএনপি নেতারা

0
244

খবর৭১ঃনারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় পুলিশের প্রতিরোধের আগেই স্মারকলিপি দিয়ে পালিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা

তবে নেতাকর্মীদের দাবি সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি থাকলেও পুলিশের তৎপরতার কারণে তা হয়নি। তারপরও সংক্ষিপ্ত সভা করে জেলা প্রশাসকের কাছে ৭ দফা দাবির স্মারকলিপি দিয়ে যে যার কাজে চলে গিয়েছে।

অপরদিকে পুলিশের দাবি আদালতপাড়ায় কোনো সভা সমাবেশ করতে পারেনি কেউ। আদালতপাড়ার নিরাপত্তার স্বার্থে শতাধিক পুলিশ দায়িত্বপালন করেছে।

বুধবার দুপুরে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, জাতীয় সংসদ বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগ ও সব দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিসহ ৭ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক মো. রাব্বী মিয়ার হাতে পৃথকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা স্মারকলিপি প্রদান করেছে। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, বিএনপির কেউ পালিয়ে যায়নি। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে যে যার কাজে চলে গেছে। স্মারকলিপির আগে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে আমার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভা করেছি। আমাদের সঙ্গে প্রায় দুই শতাশিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।

পুলিশ পরিদর্শক (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা জানান, আদালতপাড়ার নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বপালন করেছে। শতাধিক গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ এ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। আদালতপাড়ায় কেউ কোনো সভা সমাবেশ করেনি। বিএনপির কাউকে আদালতপাড়ায় দেখা যায়নি। তবে গুটি কয়েকজন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান ও পরিদর্শক (আইসিপি) গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক পুলিশ ও একটি জলকামান এবং একটি প্রিজনভ্যান আদালতপাড়ার বাইরের সড়কে প্রস্তুত রাখা হয়।

স্মারকলিপিতে অন্যান্য দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ নিশ্চিত করা, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার বিধান নিশ্চিত করা, নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে তাদের ওপর কোনো প্রকার কোনো রকম বিধিনিষেধ আরোপ না করা।

এছাড়া দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনী ফলাফল চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সকল রাজনৈতকি মামলা স্থগিত রাখা ও কোনো ধরনের মামলা না দেয়ার নিশ্চয়তা, পুরনো মামলায় গ্রেফতার না করার নিশ্চয়তা, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মতপ্রকাশের অভিযোগে ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির নিশ্চয়তার দাবি করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা বিএনপির সহসভাপতি পারভেজ আহমেদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ন কবীর, রূপগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ন, আবদুল হামিদ ভাষানী, খোরশেদ আলম মোল্লা, আনোয়ার প্রধান, কারুন্নাহার মিতা, ফাতেমা মাসুদ, সীমা সিদ্দিকী, শামীমা শারমিন, সুমন মিয়া, মাহমুদুল হক আলমগীর, মো. মূসা মিয়া, মো. জাকির হোসেন, শেখ আব্দুল আহমেদ সিফাত, বেনজীর আহমেদ, মানিক মিয়া, মাসুদ চৌধুরী খোকন, ওমর ফারুক নয়ন, হেলাল উদ্দিন সরকার, মহসিন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here