খবর৭১ঃপাবনায় সাংবাদিক সুবর্না আক্তার নদী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি শামসুজ্জামান মিলনকে (৪২) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
পাবনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে সোমবার দুপুরে মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামি মিলনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিমান্ডের শুনানীর দিন পরবর্তীতে ধার্য করা হবে বলে জানান। সেই সাথে আসামি মিলনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাবনা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার এ তথ্য জানান।
এর আগে ৮ আগস্ট রাতে ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে তাকে ডিবি পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট রাতে পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লায় বাসার গেটের সামনে আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্না আক্তার নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বুত্তরা। ঘটনার পরদিন বুধবার নিহত সাংবাদিকের মা মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে সুবর্না আক্তার নদীর সাবেক শ্বশুর-সাবেক স্বামীসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে পাবনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি মামলার অন্যতম আসামি নদীর সাবেক স্বামী রাজিব।
খবর৭১/এসঃ