খবর ৭১: আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে পূজা মণ্ডপে কোনো ধরনের ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বহন না করারও অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিটি মণ্ডপ ঘিরে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। আমরা ঢাকাবাসীকে জানাতে চাই, কোনো ধরণের কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। তবে আমরা সতর্ক থাকবো, যাতে জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার ঢাকা মহানগর এলাকায় ২৩৪টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। সবচেয়ে বড় ৯টি মন্ডপে বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সবগুলো মণ্ডপে আমাদের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বড় মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রবেশদ্বারে আর্চওয়ে মোতায়েন করা হবে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা তৎপর থাকবেন। মণ্ডপগুলোর পাশে ফায়ার টেন্ডার থাকবে।
এছাড়া ঢাকেশ্বরী মন্দিরে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। পূজা চলাকালে পটকা, আতশবাজি ও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। যেসব জায়গায় বিসর্জন দেওয়া হবে সেসব জায়গায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। পূজা চলাকালে মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য নামাজ ও আজানের সময় বাদ্যযন্ত্র না বাজানো বা সীমিত রাখার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া আগামী শুক্রবার জুম্মার নামাজ উপলক্ষ্যে দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা চেকপোস্ট চালু করা হয়েছে। পূজা মণ্ডপগুলোতে ব্যাগ, ব্যাগপ্যাক,ছুরি, চাকু ও দাহ্যপদার্থ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া শোভাযাত্রায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। শোভাযাত্রার পথে কোনও ধরনের হকার বা অস্থায়ী দোকান থাকতে দেওয়া হবে না। এসব নিরাপত্তার মাধ্যমে পূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।