দল থেকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

0
344

সেলিম হায়দার :
দলীয় সাংগঠনিক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে অগঠনতান্ত্রিক উপায়ে বহিস্কারের বিরুদ্ধে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে তালা উপজেলার ১১নং জালালপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ ছলিম উদ্দীন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশি দশকে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আঃ রশিদের হাত ধরে গ্রাম ভিত্তিক আওয়ামীলীগের সংগঠনের উদ্যোগ গ্রহন করেন তিনি। জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে ওয়ার্ড কমিটি গঠন পর্যন্ত প্রায় ৫ বছর ধরে কোন মিটিং হয়নি। ১ ও ২ নং ওয়ার্ড কমিটি হয়নি এবং দলীয় কোন গুরুত্বপুর্ন দিবস সাংগঠনিক ভাবে এ ইউনিয়নে পালন করা হয় না। ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সভাপতি/সম্পাদকে মিটিং ডাকার অনুরোধ করি। তারা মিটিং ডাকায় ব্যর্থ হওয়ায় আমি আহ্বায়ক হয়ে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ ও শ্রমিকলীগসহ সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের নিয়ে গত ২৩ জুলাই রথখোলা স্কুলে এক মতবিনিময় সভার আহ্বান করি। সভা আহ্বানের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মোড়ল আমাকে মোবাইলের মাধ্যমে জানান, এই সভা ডাকার এখতিয়ার তোমার নেই। আমি তাৎক্ষনিক সভা বন্ধ করি। কিন্তু ২/৩শ’ নেতা কর্মীদের সবাইকে বিষয়টি জানাতে পারিনি। সে কারণে ধার্য তারিখে আমন্ত্রিত অতিথিসহ বহু নেতা-কর্মী সভায় উপস্থিত হন। উপস্থিত নেতা-কর্মীরা এ সময় নতুন ব্যানারে “স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় জনতা” এর মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত করার শপথ নেওয়া হয়। উক্ত আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে গত ইংরেজী ৩ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকাল ৪ ঘটিকায় তড়ি ঘড়ি করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মিটিং আহ্বান করা হয়। অথচ মিটিং-এ আমাকে জানানো হয়নি কিংবা চিঠি দেওয়া হয়নি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সদস্যবৃন্দকেও মিটিংএ অবহিত না করে সম্পূর্ন অগঠনতান্ত্রিকভাবে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
তিনি বলেন, তাকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে অগঠনতান্ত্রিক উপায়ে বহিস্কার করা হয়েছে। সাংগঠনিক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে আগামী দিনে নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে ইউনিয়নের গুটি কয়েকজন নেতা তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাথে সাথে তিনিসহ তার অনুসারী নেতা-কর্মীদের পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চক্রটি উঠেপড়ে লেগেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগনেতা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুল রশিদ, শেখ আলী আহম্মে চাঁদ, শেখ সাদ্দাম হোসেন, শেখ সাইদুল ইসলাম, মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামল দে, মিনারুল ইসলাম, বাসার মোড়ল, আবু তালেব গাজী, ফকির রাজ্জাক, শেখ আঃ করিম, হারুন সরদার, জাহান আলী বিশ্বাস প্রমুখ।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here