খবর৭১:উপনিবেশ আমল শেষ হলেও এখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গেছে বেশ কিছু শ্বেতাঙ্গ। তাদের হাতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক কৃষিভূমি।
তবে সম্প্রতি এসব কৃষিভূমি বজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার।
এ অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গরা তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ করছে। সম্পত্তি হারানোর আশঙ্কায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কোনো দেশে আশ্রয় পাওয়ারও চেষ্টা করছেন অনেকে। তাদের সহায়তায় মার্কিন সরকারের তরফ থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া না হলেও এগিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডুটন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের মানবিক বিবেচনায় দেশটিতে দ্রুত আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করতে চান। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে অবিচার হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। এ কারণে কোনো ‘সভ্য’ দেশে তাদের আশ্রয় পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য তার।
দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে কোনো বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এখানে যা হচ্ছে, তার সবই আইনের আলোকে করা হচ্ছে বলে মতামত তাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। শ্বেতাঙ্গদের হার ৮.৪ শতাংশ, মিশ্র জাতি ৮.৮ শতাংশ এবং এশিয়ান বংশোদ্ভূত ২.৫ শতাংশ। তবে সম্পদের হিসাব জনসংখ্যার প্রায় বিপরীত। দেশটি মোট কৃষিজমির ৭২ শতাংশেরই মালিক শ্বেতাঙ্গরা।
কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া ছাড়াই শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জমি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা প্রয়োগ যাতে করা যায় সেজন্য সংবিধানে পরিবর্তন আনা হচ্ছে দেশটিতে। নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নিজে দক্ষিণ আফ্রিকার জমি মুষ্ঠিমেয় শ্বেতাঙ্গের কাছ থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবার পক্ষপাতী।
এ অবস্থায় শ্বেতাঙ্গরা অনেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভিন্ন কোনো দেশে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এল অস্টেলিয়া।
খবর৭১/জি: