খবর ৭১ঃ রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট শুরু হয়েছে সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে। একটানা ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তিন সিটির মোট ভোটার সংখ্যা ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৬ জন। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে এই তিন সিটি নির্বাচনই সবচেয়ে বড় নির্বাচন।
তিন সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রোববার বিকেলেই সব কটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। শনিবার থেকেই তিন নগরে পুলিশ, বিজিবি সদস্যদের পালা করে টহল দিতে শুরু করেছে।
প্রায় পক্ষকাল ধরে তিন সিটিতে চলেছে নির্বাচনী প্রচার। এবারই প্রথম এই তিন সিটিতে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে শনিবার মধ্যরাতে।
সিলেট: সিলেট মেয়র পদে প্রার্থী মোট সাতজন। এর মধ্যে একজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকি ছয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), সিপিবি-বাসদের মো. আবু জাফর (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (টেবিল ঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এহছানুল হক তাহের (হরিণ)। ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কা মোট ভোটার হচ্ছে ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন।
রাজশাহী: এই সিটিতে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শফিকুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ (হাতি)। এখানে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন।
বরিশাল: ৩০টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত (নারী) ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের আয়তন ৫৮ কিলোমিটার, মৌজা ২৭। এ সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন।
এবার এই সিটি করপোরেশনের চতুর্থ নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। এখনেএই সিটিতে মেয়ের পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মো. মজিবর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ (কাস্তে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওবাইদুর রহমান মাহাবুব (হাতপাখা)।