ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দুদকের

0
375
ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দুদকের
বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও সাময়িক বরখাস্ত দুদক পরিচালক এনামুল বাছির। ছবিঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খবর৭১ঃ

৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও সাময়িক বরখাস্ত দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি জানান।

জানা যায়, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য ‘চুক্তি’ করেন খন্দকার এনামুল বাছির। সঙ্গে দাবি করেন একটি গ্যাসচালিত গাড়ি। ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা গত ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে নগদে নিয়েছেন দুদকের এই পরিচালক। তিনি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে, খন্দকার এনামুল বাছির তদন্ত থেকে দায়মুক্তি দিতে ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে দুদক। কমিশনের সচিব দিলওয়ার বখ্তকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিশন এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।

দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে বাদ দিয়ে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন।

অপরদিকে, গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ ওঠার পর তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here