ডাকসুতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের (সোহান-বুলবুল-রনি

0
313

খবর৭১:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সরকার সমর্থক সংগঠন ছাত্রলীগের প্যানেল ঘোষণার একদিন পর সংগঠনটির একাংশের নেতারা আলাদা প্যানেল ঘোষণা করেছেন। পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। নতুন এই প্যানেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিষদ’। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেল ঘোষণা করেন, ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সোহান খান, যিনি নিজেই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী হচ্ছেন। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আছেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আছেন মোহাম্মদ রনি, যিনি ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন।
প্যানেলে আরও রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো আল মামুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম সাব্বির, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক মো. মাসুদ রানা এবং ক্রীড়া সম্পাদক গাজী নাভিদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে সোহান খান বলেন,“ছাত্রলীগের যে প্যানেলটি দেওয়া হয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় যারা যে পদের যোগ্য না তাদের সেই পদে দেওয়া হয়েছে। “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে দেওয়া হয়নি। এরকম কিছু বিষয়ে বিতর্ক থাকার কারণে আমরা আংশিক প্যানেল দিয়েছি। এরপর আমরা টিএসসিভিত্তিক সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেব।” সংবাদ সম্মেলন শেষে হলে হলে গিয়ে মনোনয়নপত্র তোলার কথাও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সোহান বলেন, “আমরা মনে করি, এটি ছাত্রলীগের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো প্যানেল নয়।”
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “যারা কমিটি ঘোষণার নয় মাস পরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি, তারা ভবিষ্যতে (ডাকসুতে নির্বাচিত হয়) কতটুকু দিতে পারবে? ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি যদি ভিপি-জিএস হিসেবে নির্বাচিত হয় তাহলে তারা কোন পরিচয় দেবে? ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি নাকি ডাকসুর ভিপি-জিএস?
“আমরা কয়েকদিন আগে দেখেছি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রদলকে মধুর ক্যান্টিনে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। আমরা যদি প্যানেল দেই আমাদেরকেও স্বাগত জানাবে বলে আমরা মনে করছি।”
তিনি বলেন, “আমরা এতো ক্ষুদ্র জায়গা থেকে তো আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের নামের তালিকা দিতে পারিনা। আমাদের যেহেতু অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রমাণ করব আমরা কতটা যোগ্য।”
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী আল মামুন বলেন, আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করি ছাত্রলীগের প্যানেলে তাদের রাখা হয়নি। তাই আমরা মনে করছি আমাদেরও নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। তাই আমরা প্যানেল ঘোষণা করছি। আমরাও নির্বাচন করবো।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিষদের এই প্যানেল পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। কারণ, এই ছাত্রলীগের ত্যাগী ও পরিশ্রমী এবং জনপ্রিয় নেতারা রয়েছে। ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি নিজেদের অধিকার আদায়ে ব্যস্ত, তারা সাধারন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে মোটেও ব্যস্ত নন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ভিপি এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে জিএস পদে রেখে রবিবার ডাকসু নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে সরকার সমর্থক সংগঠন ছাত্রলীগ। এই প্যানেল থেকে এজিএস প্রার্থী হচ্ছেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here