জয়পুরহাট রেলস্টেশন এখন ছিনতাই কারীদের আখড়া

0
302

এম এম আতাউর রহমান (জীবন),
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

জয়পুরহাট রেলস্টেশনে প্রতিদিনই একাধিক যাত্রীর মুঠোফোন, ব্যাগ ও নগদ টাকা খোয়া যাচ্ছে। চোর, পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের তান্ডবে অসহায় হয়ে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। এই স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী সাতটি আন্তঃনগর ট্রেনই ওই চোর-পকেটমারদের টার্গেট। ভুক্তভোগী ট্রেনযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ট্রেনের যাত্রী এবং ওই স্টেশন সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত ট্রেনের ভেতরে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে জয়পুরহাট রেলস্টেশন প্লাটফর্মেও প্রায় প্রতিদিনই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে, প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে যাত্রী উঠা-নামার সময় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। এসব ঘটনায় রেলওয়ে থানায় (জিআরপি) অভিযোগ করে ও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং দিনের পর দিন এসব ঘটনা বেড়েই চলছে।
স্টেশন সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন জয়পুরহাট রেলস্টেশনের ওপর দিয়ে দুইটি মেইল ট্রেনসহ সাতটি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। এসব ট্রেনে জয়পুরহাট স্টেশন থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ওঠা-নামা করেন। কিন্তু এই স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে থানা পুলিশের কোন তৎপরতা নেই। এ সুযোগকে কাজে লাগায় চোর-পকেটমাররা। স্টেশনে এসে ট্রেন থামা মাত্র যাত্রীদের তাড়াহুড়ো শুরু হলে চোর-পকেটমাররা তৎপর হয়ে উঠে।
যাত্রীরা জানান, কিছু চুরি গেলে সেটা নিয়তি বলে মেনে নিতে হয়। থানায় অভিযোগ করে কাজ হয় না। এ নিয়ে অনেকেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু চুরি যাওয়া জিনিস আর উদ্ধার হয় না।
জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জহির হোসেন বলেন, হর-হামেশাই চুরির ঘটনা ঘটছে। ৮-১০ নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে ১৪-১৬ বগির ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তারপরও ঈদের আগে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি, যাত্রীদের ভালো সেবা দেওয়ার।
জয়পুরহাট স্টেশনমাস্টার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্টেশনে সবসময় মাইকিং করে সতর্কতা বার্তা দেওয়া হচ্ছে।’
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here